কর্মক্ষেত্রে বিএসসি প্রকৌশলীরা ডিজাইন, প্ল্যানিং, গবেষণা এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা এক্সিকিউশন, সুপারভিশন ও মেইনটেন্যান্সে কাজ করেন। অর্থাৎ বিএসসি প্রকৌশলীরা ডেস্কে এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। লেখক এখানে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও এমবিবিএস চিকিৎসকদের সঙ্গে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের গুলিয়ে ফেলেছেন।
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা এমবিবিএস কোর্সের বিষয়ের ওপর লেখাপড়া করেন না, তা ঠিক। কিন্তু বিএসসি প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উভয়েই প্রকৌশলী, এটা রাষ্ট্র কর্তৃক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শিক্ষাব্যবস্থার কোর্স কারিকুলামও তা–ই। আর সে কারণে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিতে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতাবলে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এমনকি এমডি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের পদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাঁরা সেসব দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন, এমন অনেক উদাহরণ আছে।
লেখক ‘পৃথিবীর কোনো দেশে এভাবে ডিগ্রি প্রদানের কোনো উদাহরণ নেই’ বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও শিক্ষানবিশ, রিকগনিশন, প্রিওর লার্নিংসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয় এবং শিক্ষার স্তরভুক্ত করা হয়।