গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা পৃথক দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর। ইতিমধ্যে দুই মামলায় ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়ে গেলেই এ দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এক মাস ধরে বসুন্ধরার একটি বাড়িতে হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা হয়। হত্যাকাণ্ডকে সর্বোচ্চ বিভৎস রূপ দিতেই মানুষগুলোকে গুলি করে হত্যার পর তাদের গলাকাটা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার আগে ও পরে বিভিন্ন অ্যাপ-টেলিগ্রাম, ওয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখে অপরাধীরা। হত্যাকাণ্ডের পর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর ভেতরের চিত্র একাত্তরের বিভৎসতার মতো ছিলো বলেও জানান তিনি। নিরীহ মানুষগুলো হত্যা করলে তারা বেহেশত পাবে সরাসরি - এমন ধারণা ছিলো অপরাধীদের, এমনটাও জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে, গ্রেফতারকৃত ৮ জন আসামীর সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয় জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।