কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার অভিযোগ ঘিরে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে আবার সুর চড়াল জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এবার তাদের নিশানায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ডেভিড মরিসন মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্ট কমিটিকে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের নির্দেশে কানাডায় খালিস্তানিদের উপর হামলা এবং ভীতি প্রদর্শন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টে মরিসনের মন্তব্য উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তারই প্রেক্ষাপটে ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মরিসনের এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা রয়েছেন। এর পরেই সঞ্জয়সহ কয়েকজন কূটনীতিককে দেশে ফেরত আনা হয়। পাশাপাশি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বহিষ্কার করে কয়েকজন কানাডার কূটনীতিককে। সেই সাথে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে।
খালিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাকে হত্যা করা হয়। এর পরেই নিজ্জর হত্যায় ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কানাডার সার্বভৌমত্বকে ভারত লঙ্ঘন করেছে। এটি তাদের বড় ভুল।’
কিন্তু এত দিন পর্যন্ত সরাসরি ভারতের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিশানা করেননি তারা। এবার সেটাও করল কানাডা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা