এ মৌসুমে ৬০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আম সংগ্রহ শুরু করেছে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানি প্রাণ।
সোমবার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রাণের বরেন্দ্র শিল্প পার্কে আম সংগ্রহ এবং পাল্পিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় বলে কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সারা বছর ধরে আমের পানীয়, জুস, ম্যাঙ্গো বার এবং অন্যান্য খাদ্য পণ্য উৎপাদনের জন্য মৌসুমি আম সংগ্রহ এবং পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াশ মৃধা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রাণ তার চুক্তিবদ্ধ চাষীদের কাছ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহ করে পাল্পে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে। রাজশাহী কারখানার পাশাপাশি নাটোরের একডালায় প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড কারখানায় আম সংগ্রহ এবং পাল্পিং কার্যক্রম চলছে।
উচ্চমানের পাল্প সংগ্রহ নিশ্চিত করার জন্য প্রাণ রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা সহ প্রধান আম উৎপাদনকারী জেলাগুলির ১২ হাজার চুক্তিবদ্ধ চাষির কাছ থেকে আম সংগ্রহ করছে।
“প্রাণ মূলত এই কৃষকদের কাছ থেকে গুটি এবং আশ্বিনা জাতের আম সংগ্রহ করে পাল্প উৎপাদনের জন্য। ভালো ফলন নিশ্চিত করার জন্য প্রাণ সারা বছর ধরে কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেয়। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হওয়ার কারণে এই জেলাগুলোর কৃষকরা ক্রমবর্ধমান হারে গুটি ও আশ্বিনা আমের চাষ শুরু করেছেন।
“কৃষকদের কাছ থেকে আম সংগ্রহ করার পর পাল্প তৈরির জন্য তা বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। প্রথমে আমের পাকা অবস্থা পরীক্ষা করা হয় এবং পোকামাকড়, রোগ বা পচনের জন্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আম পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। এরপর, স্বয়ংক্রিয় মেশিন ব্যবহার করে পাল্প তৈরি করা হয় এবং সারা বছর ব্যবহারের জন্য অ্যাসেপটিক ব্যাগ ব্যবহার করে কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংরক্ষিত পাল্প জুস এরপর পানীয় উৎপাদন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে মানুষের সংস্পর্শ ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাণের আমের পানীয় এবং জুস তৈরি করা হয়। বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি করা হয় প্রাণের এসব পণ্য।
ইলিয়াশ মৃধা বলেন, “ভোক্তারা যাতে উচ্চমানের ফলের পানীয় এবং জুস পান, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাঁচামালের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিই। সেই কারণেই আমরা আম সমৃদ্ধ অঞ্চলে কারখানা স্থাপন করেছি। এর ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য আমাদের কাছে সরবরাহ করা সহজ হয়।”