এরপরও ইসরায়েল এখনো রাফায় অভিযানের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে, যেখানে গাজার অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলে আসছেন, সেখানে যে হত্যাযজ্ঞের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটা হবে ‘কল্পনাতীত’।
পশ্চিম তীরে সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনারা মার্কিন নাগরিকসহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে আসছেন। গণহত্যাবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব কর্মকাণ্ড গণহত্যার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। আর মার্কিন সরকারে কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন নিয়েই এসব কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মানবাধিকারের প্রসারে গত বছর এই দপ্তরে আমি কাজ করেছি। দপ্তরের এই অভিপ্রায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে। কিন্তু এমন একটি সরকার, যারা সরাসরি এমন বিষয়কে সহায়তা করছে, যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বলেছেন, গাজায় গণহত্যা ঘটে থাকতে পারে; তাদের প্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের (মানবাধিকার নিয়ে) কাজ করে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ধরনের নৃশংসতাকে সহায়তা করে—এমন প্রশাসনের অধীন কাজ করতে অসমর্থ হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার পদ থেকে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।