কিছুক্ষণ আগে সাজঘরে ফিরেছেন নাসির হোসেন। ১৬৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনিংস সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তবে প্রতাশানুযায়ী সূচনা এনে দিতে পারেননি বিজয়। শুরুতেই কাইল জারভিসের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এর পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন তামিম। এক পর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। তবে ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎই থেমে যান সাকিব। ক্যারিয়ারে ৩৭ হাফসেঞ্চুরি (৫১) তুলে সিকান্দার রাজার বলে টেলরের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। প্রিয় সুইপ শট খেলতে গিয়ে মুজারাবানির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক (১৮)।
মিস্টার ডিপেন্ডেবলের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ১৫৬ থেকে ১৬৭ যেতে মাহমুদুল্লাহ, তামিম ও সাব্বিরের উইকেট হারায় টাইগাররা। এতে দলের ওপর নেমে আসে মহাবিপর্যয়।
বরবারের মতে এদিনও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করেছেন তামিম। ফিরেছেন আবারও সেঞ্চুরি (৭৬) বঞ্চিত হয়ে। তবে ১০৫ বলে ৬ চারে এ ইনিংস খেলার পথে দুটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। প্রথমে সনাৎ জয়াসুরিয়াকে টপকে একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করার বিশ্বরেকর্ড গড়েন ড্যাশিং ওপেনার। এরপর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট ৬ হাজার রান করার কীর্তি গড়েন তিনি।