মহাকাশ, জোম্বি, এলিয়েন—এমন কত কিছু নিয়েই তো হয়েছে অসংখ্য গেইম। সাগরতলের রহস্য নিয়ে হয়েছে কমই। গেইমারদের তাই ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতাই উপহার দেবে ‘আননোন ওয়ার্ল্ডস এন্টারটেইনমেন্টে’র ‘সাবনটিকা’।
সময়টা ১০০ বছর পেরিয়ে। আন্ত গ্রহ ভ্রমণ রূপ নিয়েছে বাস্তবে। অরোরা নামের এক মহাশূন্য যানে চেপে একদল অভিযাত্রী চলেছে নিখোঁজ আরেক জাহাজের খোঁজে। ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণে গতিপথ হারিয়ে ক্র্যাশল্যান্ড করেছে অজানা এক গ্রহে। মানচিত্রে যার সাংকেতিক নাম ৪৫৪৬বি। গ্রহের প্রায় পুরোটাই সমুদ্র। সেই জলে আছে নানা রকম মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী। ভাঙা স্পেসশিপ থেকে বেরিয়ে সেই ভিনগ্রহে টিকে থাকা, বিপদে পড়া অন্য সহযাত্রীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের উদ্ধার করা, এ নিয়েই ‘সাবনটিকা’।
গেইমটির মূল আকর্ষণ, পানির নিচের এক অদ্ভুত জগেক জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা গ্রাফিকস। ক্র্যাশল্যান্ডের পর স্পেসশিপ থেকে বেরিয়ে নিঃসঙ্গ গ্রহচারীর একটাই লক্ষ্য, বেঁচে থাকা। বেঁচে থাকার কৌশল রপ্ত করতে করতেই বেতারে ভেসে আসবে আরো অনেক বিপদগ্রস্ত সহযাত্রীর বার্তা। স্পেসশিপের জরুরি যানের সাহায্যে বেঁচে থাকাটা খানিকটা সহজ হবে। তবে এর রসদ জোগাতে হবে নিজেকেই। সংগ্রহ করতে হবে কোরাল, উদ্ভিদ, মাছ, খনিজ পদার্থসহ অনেক কিছু। পানির জন্য ফোলা পটকা মাছ ধরতে হবে। আবার দ্রুত খিদে মেটানোর জন্য স্কেলিটন ফিশের মতো ছোট ছোট মাছ ধরাই নিরাপদ। এভাবে ঘুরতে ঘুরতেই সন্ধান পাওয়া যাবে এই গ্রহে অন্য এক বুদ্ধিমান প্রাণীর উপস্থিতির চিহ্ন। ঘটতে থাকবে নানা ঘটনা।
স্বচ্ছ, সহজ, সাধারণ অথচ মজার; সাবনটিকা গেইমটিকে বর্ণনা করা যায় এভাবেই। ঠিক যেন মুহম্মদ জাফর ইকবালের কোনো সায়েন্স ফিকশন। তেমন একটি বই পড়ার মজার সঙ্গে যোগ করুন সাগরতলের হরেক রকম অত্যাশ্চর্য মাছের জীবন্ত ছবি! সব মিলিয়ে সাবনটিকা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে গেইমারদের।
খেলতে যা লাগবে
- ইন্টেল ২.৫ গিগাহার্জ গতির বা সমমানের প্রসেসর
- গিগাবাইট র্যাম
- ইন্টেল এইচডি৪৬০০ গ্রাফিকস কার্ড
- হার্ডডিস্কে ৬ গিগাবাইট ফাঁকা জায়গা
- ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেম।
বয়স
১২+