‘বাবা, এক চাঁদে কয় পূর্ণিমা? বৌদ্ধদের জন্য একটা, হিন্দুদের জন্য একটা আর মুসলমানদের জন্য কি আলাদা একটা পূর্ণিমা? চাঁদ তো একটাই। চান্দ্র মাসও একটাই। পূর্ণিমা তো একই দিনই হতে দেখলাম। তাহলে ছুটি বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমার জন্য রোববার আর মুসলমানদের শবেবরাতের জন্য বুধবার কেন? ১৪ শাবান রাতে শবেবরাত। তাহলে কি সে রাতে পূর্ণিমা হওয়ার কথা নয়? ১৪ শাবান পয়লা মে রাতে ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ দেখেছি। পয়লা মে সূর্য অস্তমিত হওয়ার আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর চাঁদ আকাশে উঠেছিল।’ অষ্টম শ্রেণীর এই মুসলিম ছাত্রকে এক চাঁদের মাসেই ‘একাধিক’ পূর্ণিমার কারণ সম্পর্কে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি তার বাবা।

এ বছর শাবান মাসের একই চাঁদের পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে এভাবেই বুদ্ধ পূর্ণিমা ও মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব শবেবরাত আলাদা দু’দিন যথাক্রমে ২৯ এপ্রিল ও ২ মে পালিত হয়েছে। যদি হিসাব ভুল হয়ে থাকে, তাহলে একটি কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে জাতীয়ভাবে। তার আর্থিক মূল্য কত বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ও ধর্মীয় নেতাদের ভেবে দেখা উচিত। ওই কিশোরটি তার বাবাকে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করে সঠিক জবাব না পেয়ে আমাকে মনের প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়েছিল। সে ভেবেছিল, বিজ্ঞানের একটি শাখায় আমার বিচরণ। তাই আমার কাছ থেকে সঠিক উত্তরগুলো পাবে। কিন্তু না, উত্তর দিতে পারিনি। শুধু বলেছি, বড় হলে তুমি সব জানতে পারবে। অনুসন্ধিৎসু কিশোর এতে আশাহত ও মর্মাহত হয়েছে। এসব জানতে সে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার দৃঢ় সংকল্প করেছে। আশা করি, আমাকে ছাড়াই সে শিগগিরই ইন্টারনেট সার্চ করে এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে যাবে। কিন্তু তখন নিজ ধর্ম সম্পর্কে কচি মনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হলে, ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারত উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে চাঁদের হিসেবে দিন মাস গণনা পৃথিবীর আর অর্ধশতাধিক মুসলিম দেশের সাথে মিলছে না। তাই একই সাথে সব মুসলিম দেশের মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, ইয়াওমুল আরাফাহ, আশুরা, শবেকদর, শবেবরাত, শবে মেরাজ, ১২ রবিউল আওয়াল একসাথে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। সারা দুনিয়ার মুসলমান একই দিনে (বড়জোর ১২ ঘণ্টার তফাৎ) অনুষ্ঠান পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

চান্দ্র মাসের প্রথম দিন কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত থাকলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মুসলমানেরা একদিন বা দু’দিন পরে এসব অনুষ্ঠান শুরু ও পালন করছেন। তবে কি উপমহাদেশে মুসলিম নেতৃবৃন্দের অসচেতনতা কিংবা অনৈক্যের জন্য সারা দুনিয়ার সাথে ইসলামি আচার-অনুষ্ঠান পালন সম্ভব হচ্ছে না? বিভিন্ন অনিয়ম ও মূর্খতা দেখে ‘সনাতন ধর্ম’ এবং বাবা-মা, ভাইবোনসহ বিশাল অর্থসম্পত্তি ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। সেই আধুনিক ধর্মে এসে যেন অনৈক্য, অনগ্রসরতা ও ভ্রান্তি দেখে পিছুটান দিতে না হয়। একই চাঁদ একই পৃথিবীতে কয়বার প্রথম উদয় হতে পারে? এক চাঁদের কয়বার হয় পূর্ণিমা? আলেমদের (জ্ঞানীদের) এ দিকে মনোযোগ দিতেই হবে, তা না হলে নবীন প্রজন্ম এ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। পৃথিবীতে চান্দ্র মাস গণনা বিশেষ করে রমজানের রোজা পালন শুরু হলে, তার দুই দিন অথবা একদিন পর বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানে রোজা পালন শুরু হয় কেন, এ প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে অনেকের মনে।

কিয়ামত হবে ১০ মহররম আশুরার দিন। পৃথিবীর প্রায় ১২৫টি দেশে মুসলিম আছেন (কম-বেশি)। তারা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ইবাদত করে থাকেন। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এক অথবা দুই দিন পরে আশুরা পালিত হয়। অর্থাৎ চাঁদের মাসের হিসাবে (আরবি মাস) উপমহাদেশ কমপক্ষে একদিন পিছিয়ে আছে।

বিশেষ করে বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণে সব দেশে ইসলামি আচার-অনুষ্ঠান ইবাদত রোজা আশুরা ঈদ শবেকদর শবে মেরাজ পালিত হয় একই দিনে আর বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানে এসব দিবস কি পালিত হয় দুই দিন অথবা এক দিন পর। এটা নয় আশ্চর্যজনক সত্য হলো, এ নিয়ে ভিন্ন ধর্মের মানুষেরাও প্রশ্ন তোলে।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্রের পরিভ্রমণ, উদয়-অস্তসহ মহাকাশের নানা বিষয় নিয়ে এবং প্রকৃতির নানা দিক নিয়ে ভাবতে বলেছেন; গবেষণা করতে বলেছেন। উপমহাদেশে ৬৫ কোটি মুসলমান এসব নিয়ে ভাবেন না কেন? এসব নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে কি?

ঘড়ির সময়ে সেকেন্ড-মিনিট-ঘণ্টার নিয়মে নামাজের সময় সৌর দিন, মাস, বছর হিসাব করা যায়; সাহেরি-ইফতারের সময় ঘড়ির কাঁটা ধরে নির্ধারণ করা যায়; তাহলে চান্দ্র মাস ও দিন কেন আজো সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাবে না? এ নিয়ে কেন বিভ্রান্তি থাকবে? এই উপমহাদেশের তিন দেশ ছাড়া সব দেশ একই সময়ে চান্দ্র মাস দিন গণনা করে। সেই অনুযায়ী তারা সব ধর্মীয় ইবাদত অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। তুর্কি আলেম ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পশ্চিম আফ্রিকার আকাশের প্রথম চন্দ্রোদয় দেখে আরবি মাসের দিন গণনা শুরু করে থাকেন। এর একটা বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক হিসাব আছে, সেই মোতাবেক সারা দুনিয়ার মুসলিমরা সব ইবাদত ও ইসলামি অনুষ্ঠান একই সাথে পালন করেন।
১৯৮৬ সালে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেম ওলামা, মুফতি, শায়খুল হাদিস জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মহাসম্মেলন হয়েছিল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ এবং আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোসহ ৫৭টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদল একটি সনদে স্বাক্ষর করেছেন।

পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় প্রথম চন্দ্রোদয় দেখে চান্দ্র মাসের প্রথম দিন গণনা (হিজরি সনের দিন গণনা) শুরু হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী উপমহাদেশের তিনটি দেশ ছাড়া সব মুসলিম দেশ এবং পৃথিবীর যেসব দেশে মুসলমানরা আছেন, তারা একই দিনে সব ইসলামি অনুষ্ঠান ও দিবস পালন করছেন। জাপান থেকে কানাডা পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমে সূর্যের উদয়-অস্তের ব্যবধান বড়জোর ১৪ ঘণ্টা। একই দিনে ইসলামি অনুষ্ঠানাদি পালন করতে গিয়ে এই ১৪ ঘণ্টার ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ। তবে কোনো দেশে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরবি মাস গণনা হয় না এবং ভুল সময়ে অনুষ্ঠানাদি পালন করা হয় না। ওআইসির ওই সনদে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করার পরও অন্যদের ২৪, ৩৬ অথবা ৪৮ ঘণ্টা পর এই তিন দেশে ইসলামি অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে এখনো।

এই তিন দেশের আলেম-ওলামা, যেসব দেশের মাদরাসা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ বিজ্ঞান পড়ানো হয়, সেসব মাদরাসার আলেমদের এবং বিজ্ঞানীদের সাথে মতবিনিময় করে এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিমদের সাথে একাত্ম হয়ে এক চাঁদে একই দিনে বিভিন্ন ইবাদত অনুষ্ঠান সঠিক সময়ে পালন করা উচিত। সন্দেহযুক্ত সময়ে রোজা, ঈদ, কদর, আশুরা ও মেরাজ ইত্যাদি পালন করা সঙ্গত কতটুকু তা আলেমরাই ভালো জানেন। নওমুসলিম হিসেবে এ বক্তব্যে বিচ্যুতি ও ভ্রান্তি হলে আমি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

এবার শবেবরাত পালিত হয়েছে পূর্ণিমার রাতের দুই রাত পরে। কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় রাত শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এর আগে শবেবরাত দেখেছি ১৪ শাবান পূর্ণিমা হয়। আর এবার পয়লা মে মঙ্গলবার রাতে চাঁদ উঠেছে কমপক্ষে সূর্যাস্তের আড়াই ঘণ্টা পর। ২৯ এপ্রিল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করেছে রোববার। এ অবস্থায় এক চাঁদে কয় পূর্ণিমা হয়, শিশুর এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তার বাবা, আমিও পারিনি।

আমি নওমুসলিম, আমার জ্ঞানের পরিধি অনেক কম হওয়াই স্বাভাবিক। কোনো বিতর্ক সৃষ্টি আমার উদ্দেশ্য নয়।
কথা হলো, সব ধর্মের মানুষ এখন বিজ্ঞানভিত্তিক হিসাব রাখে। আমরাও দিনের হিসাব, নামাজের, ইফতারের এবং সাহেরির হিসাব বিজ্ঞানভিত্তিকভাবেই করি। বাস্তবে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া সব দেশের মুসলিমরা বিজ্ঞানভিত্তিক সময়ে চাঁদের দিন গণনা এবং ধর্মীয় ইবাদত অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে পদার্থ বিজ্ঞানের খ্যাতনামা অধ্যাপক শমসের আলী সাহেবের মতো ব্যক্তিদের উদ্যোগ বাংলাদেশী মুসলিমদের জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে, এ আশা করছি একজন নওমুসলিম হিসেবে।

বিশ্বব্যাপী একই তারিখে রোজা ও ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়ে মুসলিম উম্মাহ নামে একটি সংগঠন গত ৪ মে ঢাকায় প্রেস কনফারেন্স করেছে। এতে জানানো হয়েছে, ১৯৮৬ সালে মুসলিম বিশ্বের ৫৭টি দেশের সংগঠন ওআইসির সদস্যদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যেকোনো একটি দেশে নতুন চাঁদ দেখা নিশ্চিত হলে সব মুসলিমকে অবশ্যই সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে। নতুন চাঁদের উদয় স্থলের ভিন্নতা ধর্তব্য নয়, কারণ রোজা শুরু ও শেষ হওয়ার নির্দেশটি বিশ্বের সবার জন্য প্রযোজ্য। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেনি। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশ তা মেনে চলছে। গবেষক এয়ার কমডোর (অব:) ড. সৈয়দ জিলানি মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, চাঁদ দেখে ভাঙ্গো’, হাদিসটি সহিহ। বলা হচ্ছে, প্রত্যেকেই প্রত্যেক দেশ থেকে চাঁদ দেখতে হবে। কিন্তু প্রকৃতভাবে এ হাদিসে ‘তোমরা’ সম্বোধনটি গোটা মুসলিম উম্মাহকে করা হয়েছে। কোনো দেশকে নির্দিষ্ট করে এটা বলা হয়নি। কাজেই কোনো দেশে দেখা গেলে তা গোটা উম্মাহ দেখেছেন বলে ধরে নিতে হবে।

যেমন- বাংলাদেশে কক্সবাজারে চাঁদ দেখা গেলে তা সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। ওআইসির ফিকহ অ্যাকাডেমিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ আল মাদানি বলেন, চাঁদ দেখে সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ঈদ পালন না করার কারণে কখনো বা মূলত ঈদের দিনে রোজা পালন করছি আমরা। এ ছাড়া শবেকদরের রাতের বেলায়ও ভিন্নতা এসে যাচ্ছে। এ কারণে ওআইসিকে চলতি অধিবেশনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানান তিনি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করেছেন ড. মারুফ। তিনি বলেন, দেশে ‘চাঁদ দেখা কমিটি’ আছে। কিন্তু এর সদস্যদের বেশির ভাগই পদাধিকার বলে অন্তর্ভুক্ত, এ কমিটির পুনর্বিন্যাস হওয়া প্রয়োজন। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুফতি সাইয়্যেদ আবদুছ ছালাম, ডা: এম এ কাশেম ফারুকী, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার অধ্যাপক আ ন ম রশীদ আহমদ আল মাদানী, সাবেক সচিব এ টি এম আতাউর রহমান প্রমুখ। (নয়া দিগন্ত ৫ মে)

গ্রামাঞ্চলে, ছোট জেলা ও পৌর শহরে মসজিদে জুমার নামাজে এখনো যে খুতবা পড়া হয়, তাতে অতীতের সুলতানদের শুভ কামনা এবং সেই সালতানাতের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এখন বাজারে ১২ চাঁদের যেসব খুতবা পাওয়া যায় তার অধিকাংশই বহু বছর আগে লিখিত। একজন মাদরাসা শিক্ষক বলেছেন, ৯০০ বছর আগের বাংলার সুলতানি আমলের খুতবাও নাকি এখন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মসজিদে দেয়া হয়।

পবিত্র কুরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। মুসলমানদের ধর্ম চর্চার ভাষা আরবি। জুমার খুতবা এ জন্য সারা দুনিয়ায় আরবিতে দেয়া হয়। সব মুসলিম দেশে এটাই করা হয়। তবে লিখিত আরবি খুতবার সঠিক বাংলা অনুবাদ জানানো উচিত মুসল্লিদের। তা ছাড়া এ দেশে খ্বু কম মুসল্লি আরবি খুতবা বুঝতে পারেন। ফলে খুতবার সময় অনেকে ঘুমান, না হয় ফিসফিস করে গল্প করেন। আলেমদের উচিত আধুনিক ও যুগোপযোগী খুতবা লিখে বিশেষত গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোকে সরবরাহ করা।
লেখক : জাপানে পিএইচডি গবেষণারত এবং নওমুসলিম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews