বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনার ২৪ ঘন্টা পর আরেক সহসভাপতি বাদল রায়ও উস্থাপন করেছেন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে বাফুফে ভবনে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাদল রায় তাদেরই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়মের নানা তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
এর আগেও বাদল রায় বাফুফের অনেক অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন। এবার তারই আরেক সহকর্মী মহিউদ্দিন আহমেদ লিখিতভাবে বাফুফে সভাপতির কাছে অনিয়মের অভিযোগ করার পর আবারও সোচ্চার হয়েছেন বাদল রায়।
সাবেক এ তারকা ফুটবলার বলেন, ‘গত নির্বাহী কমিটির সভায় অডিট রিপোর্ট অনুমোদন করানোর কথা ছিল। রিপোর্ট দেখেই তখন মনে হয়েছিল অনেক ত্রুটি আছে। তাই কয়েকজন বলেন পাস করানো যাবে না। ফাইনান্স কমিটির সভায় আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এটা আগে আমাদের কাছে পাঠানো উচিত ছিল। ফাইনান্স কমিটিতে পাস হয়নি। সেখানে বলা হয়েছিল ফিফা ও এএফসিতে হিসাব পাঠানো হয়েছে।’
বাদল রায় অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালের পর থেকেই বাফুফে সভাপতির সঙ্গে ছিলাম; কিন্তু এখন তিনি আমাদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। আমি যখন ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন আমিই একমাত্র যে কাজ করেছি, তারপরও তিনি আমাদের সরিয়ে দিয়েছেন। সভাপতি আমাদের কাছে রাখতে চান না। কারণ তিনি ফুটবলকে ভালবাসেন না। ফুটবলকে ভালবাসলে আমাদের মতো লোককে দূরে ঠেলে দিতেন না। টাকার খবর জিজ্ঞাসা করায় ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম সাহেবও সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি নিজেও অনেকের কাছে বলেছেন, ফেডারেশনে কিছু অনিয়ম হচ্ছে।’
নেতৃত্বে গলদ আছে উল্লেখ করে বাদল রায় বলেছেন, ‘লিডারশিপের কারণেই সব সমস্যা। কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ঠিক না থাকলে এ রকম হবেই। একটা প্রতিষ্ঠানের একটা নীতিমালা থাকে, নিয়ম অনুযায়ী কোনকিছু না হওয়াকেই অনিয়ম বলা হয়। অডিট যারা করেছে তাদের নিয়েও প্রশ্ন আছে। অডিটররা এজিএমে অনুমোদিত নয় সবাই। এটা একটা বড় অনিয়ম।’
এই অভিযোগের প্রতিকার না পেলে কি করবেন? জবাবে বাদল রায় বলেছেন, ‘প্রতিকার এখন না হলে এজিএমে যারা কাউন্সিলর হিসেবে আসবেন তারা ব্যবস্থা নেবেন। কারণ তারাই সব সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রাখে। সাত লাখ ডলার এসেছিল সিলেট একাডেমির জন্য। সেই টাকা সিলেট একাডেমির জন্য খরচ করা হয়নি। আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, অন্য খাতে খরচ হয়েছে। সেটা তো হতে পারে না।’
আরআই/আইএইচএস/এমএস