ইসরায়েলের ওই হামলা ছিল ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক সম্পর্ক অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েলের ওই হামলা ইরানকে সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করেছে। ইরান এ ক্ষেত্রে কোনো প্রক্সি শক্তির সহায়তা না নিয়ে সরাসরি নিজেই আঘাত করেছে।
ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলাও সরাসরি ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। ফলে সার্বভৌমত্ব রক্ষার অভিপ্রায় ইরানকে ইসরায়েলে আঘাত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তবে এই বিপজ্জনক উত্তেজনাকর ঘটনাই এখন শাপে বর হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে।
এই হামলার কারণে আঞ্চলিক অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে। বিশেষ করে গাজা যুদ্ধের ইতি টানা, ইসরায়েল–ইরানের পাল্টাপাল্টি শক্তি প্রদর্শন বন্ধ এবং লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতিদের আক্রমণের সমাপ্তির বড় সুযোগ করে দিয়েছে ইরানের এই হামলা।
উভয় শিবিরেরই সামরিক সক্ষমতা দেখানোর সামর্থ্য থাকলেও অনুমান করা যাচ্ছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সতর্কবার্তা মেনে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিশোধ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে এ অঞ্চল একটি ‘অস্বস্তিকর ভারসাম্যের’ দিকে যেতে পারে।