আমস্টারডামে ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় রোববার রাতে ৩-২ গোলে জিতে সবশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জয়ীরা। গত অক্টোবরে এই মাঠেই উয়েফা নেশন্স লিগে ডাচদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল ইওয়াখিম লুভের দল।

লেরয় সানে ও সের্গে জিনাব্রির গোলে নেদারল্যান্ডস পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন মাটাইস ডি লিখট ও মেমফিস ডিপাই। শেষ দিকে জার্মানির জয়সূচক গোলটি করেন নিকো শুলজ।

ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা জার্মানি পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায়। টনি ক্রুসের পাস পেয়ে দ্রুত ছুটে ডি-বক্সে বল বাড়ান মিডফিল্ডার নিকো শুলজ। ডি-বক্সে স্বাগতিকদের তরুণ প্রতিভাবান ডিফেন্ডার মাটাইস ডি লিখট পড়ে যান। সেই সুযোগে বল ধরে একটু এগিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যানচেস্টার সিটির লেরয় সানে।

২৫তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও হতাশ করেন রায়ান বাবেল। তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান মানুয়েল নয়ার। দুই মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সমতা টানার আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বেসিকতাসের এই মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সের্গে জিনাব্রি। আন্টোনিও রডি রুডিগারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইককে কাটিয়ে কোনাকুনি উঁচু শটে জাল খুঁজে নেন বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার জিনাব্রি।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরে বেলারুশকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বাছাইপর্ব শুরু করা নেদারল্যান্ডস। বাঁ দিক থেকে মেমফিস ডিপাইয়ের ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান ডি লিখট। জাতীয় দলের হয়ে ১৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের এটা প্রথম গোল।

৬৩তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে জার্মানির খেলোয়াড়রা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে নিচু শটে সমতা টানেন ডিপাই। বেলারুশের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন লিভারপুলের এই মিডফিল্ডার।

৮৫তম মিনিটে জিনাব্রির একটি শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। তবে চার মিনিট পর আর পারেননি। মার্কো রয়েসের কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় পেয়ে প্লেসিং শটে অসাধারণ এক জয় নিশ্চিত করেন শুলজ।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews