ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইয়েদ জামিল।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বাংলামটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাইয়েদ জামিল বলের, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গর্ভ থেকে এনসিপির জন্ম হয়েছে। যে আকাঙ্ক্ষা থেকে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলাম আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি। কেন হয়নি তা আমরা সবাই জানি। এক দস্যুর দল পালিয়ে গেছে, এখন আরেক দস্যুর দল ক্ষমতায় যেতে উদগ্রীব, লোভাতুর হয়ে আছে। রাজনীতির এই নষ্ট সংস্কৃতি বদলে দেওয়া আকাঙ্ক্ষা আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘আমি, আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ— আমরা কালো টাকা, পেশীশক্তি ও নিকৃষ্ট লোকের নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়বো। আমার বিশ্বাস, দেশের জনগণ আমাদের লড়াইয়ে শামিল হবেন। কেনোনা এই লড়াই মুক্তিকামী জনগণেরও লড়াই।’
সাইয়েদ জামিল বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরের ইতিহাসে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি) আসনে আমরা কোনো যথাযোগ্য নেতাকে নির্বাচিত করতে পারিনি। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই আসন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো জাতীয় নেতা বের হয়নি। তাই এই আসনটি চির অবহেলিত। তাই এই আসনের তিন উপজেলায় বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন হয়নি। হয়নি এখানকার অধিবাসীদের জীবনমানের উন্নয়ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বৃহত্তর পরিসরে এবং সরাসরি জনতার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় থেকে রাজনীতিতে এসেছি। তবে পুরনো দিনের রাজনীতিবিদদের মতো আমি আমার জনগোষ্ঠীকে কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবো না। টাকা পয়সা দিয়ে ভোটও কিনবো না। জনগণ যদি পরিবর্তন চায়, রাষ্ট্রের সংস্কার চায়, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব চায় তবে জনগণই আমাকে খুঁজে নেবে এই বিশ্বাস আমার আছে। আমি বিশ্বাস করি, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী এই বাংলাদেশে আরেকটি অভ্যুত্থান হবে। সেটা হলো ভোটের অভ্যুত্থান।’
সাইয়েদ জামিলের পৈত্রিক বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পেশা জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত হন। বর্তমানে ট্রাস্টি হিসেবে যুক্ত রয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। স্ত্রী বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।