ইণ্ডিগো এয়ারলাইনসের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়াগামী ত্রিশ বাংলাদেশি শ্রমিকের যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে সর্বমোট ১শ’৬০ জন যাত্রীর সঙ্গে ইণ্ডিগো এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করছে। ইণ্ডিগো এয়ারলাইনসের অসহযোগিতা এবং দূর্ব্যবহার করার কারনে যাত্রীরা বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ইণ্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ভারতেই চেন্নাই ট্রানজিট হয়ে মালয়শিয়ার কুয়ালালামপুরে যাবার নির্ধারিত সিডিউল ছিলো। সে মোতাবেক সর্বমোট ১৬০ জন যাত্রী যথাসময়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারনে বিামান ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারা যাত্রীদেরকে নিজ নিজ বাসায় ফেরত যেতে বলেন। কিন্তু কখন তাদের ফিরতি সিডিউল রয়েছে সে সম্পর্কে যাত্রীদের কিছুই অবহিত করা হয়নি। যাত্রীরা জানতে চাইলে ইণ্ডিগো এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা সাঈদ ও ইব্রাহিম তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তারা যাত্রীদের টিকেট বিক্রি করে দিতে বলেন।
এসব যাত্রীদের মধ্যো ত্রিশ জন রয়েছেন যারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়া যাবার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। যথাসময়ে তারা মালয়শিয়া যেতে না পারলে তারা আর মালয়শিয়ায় ঢুকতে পারবেনা। মালয়শিয়া সরকারের সর্বশেষ ডেটলাইন হলো ৩০ মে পর্যন্ত। এসব শ্রমিকরা চড়া দামে টিকেট কিনেছিলেন।
অভিযোগ করে মাস বাংলা ওভারসিসের কর্মকর্তা জামিলখান ইনকিলাবকে বলেন, ওই বিমানের যাত্রীদের অনেকের বিদেশ যাত্রায় সার্বিক ব্যবস্থা করেছিলেন তাদের প্রতিষ্টান। বিষয় হলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যদি কোনো এয়ারলাইনস বিশেষ কোনো কারনে ফ্লাইট বাতিল করে সেক্ষেত্রে ওই ফ্লাইটের উপস্থিত যাত্রীদের গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত দায়িত্ব তারাই নেবেন। তারা পরবর্তী ভিন্ন কোনো ফ্লাইটে যাত্রীদের বহন করবেন। সে পর্যন্ত তারা যাত্রীদেরকে হোটেলে রাখা, খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিবেন। কিন্তু ইণ্ডিগো এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ গতকাল যাত্রীদের ব্যাপারে চরম অবহেলা করছেন।
তিনি বলেন, শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়াগামী যাত্রীরা ৩০ মে’র মধ্যে যেতে না পারলে তারা সবাই পথে বসে যাবেন। কারন এসব শ্রমিকরা নিজেদের সহায় সম্বল বিক্রি করে মালয়শিয়া যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিণÍু ইণ্ডিগো এয়ারলাইস সব বুঝেও নিশ্চুপ। তারা চাচ্ছে এসব যাত্রীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কিংবা এদের ফ্লাইট ক্যানসেল করাতে পারলে ওইসব যাত্রীদের বিপরীতে ইণ্ডিগো কর্তৃপক্ষ অন্য জাযগায় দ্বিগুনের বেশি দামে টিকেটগুলো বিক্রি করতে পারবে।
########