‘নির্বাচনের রোডব্লকের জন্যই বিএনপির ২০ দফা’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ নয়, রোডব্লক করার জন্যই ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনের আওতাবহির্ভূত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক এসব প্রস্তাব দেয়ার অর্থ হলো জল ঘোলা করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস। আর এটাই প্রমাণ করে নির্বাচন বিএনপির আসল উদ্দেশ্য নয়।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ফায়জুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বরাবরের মতোই আবারো নির্দলীয় সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে, সংসদ ভেঙে দিতে বলেছে, যা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। অনির্বাচিত কারো দ্বারা সরকার পরিচালনা সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী বলে সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করার পরও বারবার একই প্রস্তাব দেয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের দাবি করে মূলত বিএনপি অতি দরদ দেখিয়ে সশস্ত্রবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন ছিল। কিন্তু নির্বাচনে হেরে গিয়েই তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকার নিন্দা করেছিল। এর আগে ১৯৯৬ সালেও নির্বাচনে হেরে গিয়ে একই কথা বলেছিল তারা। অর্থাৎ সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন থাকা বা না থাকা নয়, হেরে গেলেই বিএনপি বলে- ‘সশস্ত্রবাহিনী ও নির্বাচন নিরপেক্ষ নয়’।
উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, নির্বাচনকালে মহামান্য আদালতের নির্দেশে ৩০০ আসনের প্রতিটিতে একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চারজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। ফলে সশস্ত্রবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। সশস্ত্রবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সহায়তা করবে।
বিএনপির লক্ষ্য জঙ্গি-জামাতীদের রক্ষা করা উল্লেখ করে তিনি এসময় বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী ফরমে দলীয় প্রার্থীর স্থলে ‘দলীয় বা জোটের প্রার্থী’ লেখার জন্য বিএনপির দাবি মূলত জঙ্গি-রাজাকার-জামাতীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার অপকৌশল। বাসস
ইত্তেফাক/কেকে