আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যেসব সমস্যা বিদ্যমান, তার মূলে রয়েছে শিক্ষকদের দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। শিক্ষকরাজনীতি এতটাই ভয়াবহ যে এর থেকেই অন্য সব সমস্যা বিস্তার লাভ করছে।
উদ্বেগজনক হলেও সত্যি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক আজ লাগামহীনভাবে চাটুকারী রাজনীতিতে যুক্ত।
সচেতন নাগরিক হিসেবে অন্য সব মানুষের মতো শিক্ষকদেরও রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন বা অধিকার রয়েছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাজনৈতিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা অনুধাবনের সক্ষমতা শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ফলে অধিকাংশ শিক্ষক আজ চাটুকারী ও লেজুড়বৃত্তির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
এটা এতটাই ঘৃণ্য অবস্থায় পৌঁছেছে যে এখন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে ছাড়িয়ে ব্যক্তিপূজার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা সরকারপ্রধানের গুণকীর্তনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা বা কারণে-অকারণে মুহুর্মুহু তাঁদের প্রশংসার সাগরে ভাসানোর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে কী উপযোগ সৃষ্টি হয়, তা আমার বোধগম্য নয়।