একই ব্যাক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান পদে না থাকা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়ে টানা চার দিন আলোচনা করেও ঐক্যমতে পৌছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো।
তবে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান হতে পারবেন না বলে সংলাপে অংশ নেওয়া তিন চতুর্থাংশ রাজনৈতিক দল ও জোট একমত হয়েছে বলে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “কিছু দল ও জোট এ বিষয়ে ভিন্নমত ব্যক্ত করেছে। এই দল ও জোটগুলো জাতীয় সনদে নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবে।”
মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সপ্তদশতম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী পদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে আরও তিন দিন এ বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে কমিশন।
আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, “অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জোট, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ একমত হয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি হওয়া উচিত নয়।
“কিছু দল ভিন্নমত দিয়েছে, আমরা তাদেরকে আহ্বান করেছি যেন তারা তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করেন।”
তিনি বলেন, “অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করে যে প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা একই ব্যক্তি হতে পারেন, তবে দলীয় প্রধান হওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে সাংবিধানিকভাবে সীমা নির্ধারণ করার বিষয়েও মত রয়েছে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় বেশ কিছু অগ্রগতি হলেও এখনো পুরোপুরি একমত হওয়া যায়নি বলে জানান অধ্যাপক রীয়াজ।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গতকাল একটি সমন্বিত প্রস্তাব পেশ করা হয়। অধিকাংশ দল একমত হয়েছে যে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা থাকা দরকার এবং প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ যেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হয়।”
ওই প্রস্তাবের আলোকে বিএনপি মঙ্গলবার একটি সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে। তাতে তারা নিয়োগ কমিটির গঠন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি-বিশেষ করে ‘র্যাংক চয়েস’ পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে।
আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা মনে করি, এই পদ্ধতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে না, কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতসহ কয়েকটি দল এ নিয়ে একমত নয়।”
বিএনপি প্রস্তাব দিয়েছে, যে যদি নিয়োগ কমিটি সর্বসম্মতভাবে একজন প্রধান উপদেষ্টাকে মনোনয়ন দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পুরনো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে। তবে তারা রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা বাতিল করে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদের মধ্য থেকে মনোনয়নের প্রস্তাব দিয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, “এতে বিচার বিভাগের এক ধরনের সম্পৃক্ততা আসে, যা অনেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির কারণ। ফলে একমতে পৌঁছানো যাচ্ছে না।”
আলোচনার শেষ ভাগে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি সাত সদস্যবিশিষ্ট বাছাই কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এতে নির্বাচিত তিনজন জনপ্রতিনিধি, একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি (প্রধান বিচারপতির মনোনয়নে) এবং রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
যদিও কমিশনের প্রস্তাবে ৭ সদস্যের বাছাই কমিটির কথা বলা হয়েছিল। যেখানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, ডেপুটি স্পিকার, তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রতিনিধি থাকার প্রস্তাব ছিল। দলগুলোর সাথে আলোচনায় শেষ পর্যন্ত পাঁচজনের বাছাই কমিটি করা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই প্রস্তাব নিয়ে কিছু দল ইতিবাচক মত দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বুধবার এই আলোচনার বিস্তারিত অংশ শুরু হবে।
কমিশন আরও প্রস্তাব দিয়েছে, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি), এবং ন্যায়পাল–এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগপদ্ধতিও সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। দুদককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রস্তাবও তোলা হয়েছে।
তিন প্রস্তাব নিয়ে যা বলছে জামায়াত
দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার নিয়ম করলে তাতে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হবে বলে মনে করছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা মনে করি, বাংলাদেশে এখন সংস্কার এবং চেইঞ্জ হচ্ছে। সেভাবে দলগুলো যেন ডেমোক্রেটিক হয়, সেই চেষ্টাও আমাদের করতে হবে।
“কারণ ডেমোক্রেসির ভায়োলেশন হয় তখনই, যখন নিজ দলেই ডেমোক্রেসি থাকে না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হয়, সেটি দলীয়ভাবে বিকেন্দ্রীকরণ হতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি বলেছে, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা, দলীয় প্রধান পারবে । আবার এনসিপিসহ কোনো কোনো দল বলেছে, তিনটাতে তিনজন আলাদা ব্যক্তি থাকতে হবে। আমরা বলছি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা একজন হতে পারবে এবং একজন হওয়া উচিত। কারণ সংসদ নেতা আর প্রধানমন্ত্রী যদি এক ব্যক্তি না হয়, তাহলে সংসদের ভিতরে সামঞ্জস্য হবে না, পার্থ্যক্য হবে। তবে যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি একই সময়ে দলীয় প্রধান হতে পারবেন না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে সার্চ কমিটি বা বাছাই কমিটির প্রস্তাবের বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “এক্ষেত্রে পাঁচজনকে নিয়ে (কমিটি করার) প্রস্তাব ছিল আমাদের। বিএনপি প্রথমে চারজনের কথা বলেছিল, আমরা বলেছি পাঁচজন হবে। পরে বিএনপিসহ অধিকাংশ দলেই পাঁচজনের ব্যাপারে একমত হয়েছে অনেকটা। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কালকে জানা যাবে।”
এই কমিটি প্রধান উপদেষ্টার নাম নির্বাচন করবে সরকার, বিরোধী দল এবং তৃতীয় পক্ষের দেওয়া নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে। তবে যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে কোনো পক্ষ যেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বা ভোটিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
‘হর্স ট্রেডিং’ বা তৃতীয় পক্ষকে সিদ্ধান্তদাতা করে তোলা যেন না হয়, এ বিষয়েও গুরুত্ব দেন জামায়াতের এই নেতা।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া চাই না, যেখানে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে বিশ্বাসহীনতা তৈরি হয়। বরং সবাই মিলে আলোচনার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে হবে।”
বিএনপি ও জামায়াতের প্রস্তাব অনেকটাই কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেন তাহের। বিশেষ করে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন এবং অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর কাছ থেকে নাম প্রস্তাব চাওয়ার বিষয়ে মতামত মিলে গেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন নামের সংখ্যা ও নির্বাচনের কৌশলে মতপার্থক্য রয়েছে।
তিনি বলেন, “আলোচনার কিছু বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের কাছে আরও একদিন সময় চেয়েছে। আমরা চাই, এমন একটা পথ বের হয় যা সর্বোত্তম এবং জাতির জন্য মঙ্গলজনক হয়।”
বক্তব্যের শুরুতে তাহের মাইলস্টোন স্কুলের যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানান। আহতদের সুচিকিৎসা দাবি করেন।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, “ভয়াবহ শোকবহ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে সকালে মাইলস্টোনের ওখানে একটু বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। আবার সচিবালয়ের এখানেও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। যারা আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দাবি থাকবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। পুরা নেশন এখন তাদের প্রতি আছে। বিশৃঙ্খলার পিছনে শোনা যায় আওয়ামী লীগেরও কিছু কিছু দুষ্ট চক্র এই পরিস্থিতিটাকে ঘোলাটে করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা কনফার্ম না।”
তাহের বলেন, “স্পষ্ট বলতে চাই, বিতাড়িত, পরাজিত এবং দেশত্যাগে বাধ্য অপশক্তি বাংলাদেশের পুনরায় রাজনীতিতে পুনর্বাসন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোন অধিকার নেই। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা যদি শুরু করতে থাকে , তাহলে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই আগস্টের চেতনা নিয়ে আবারো তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) তা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব- ইনশাআল্লাহ।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা বিএনপি সংশোধিত প্রস্তাব
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে বিএনপি সংশোধিত প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠনপ্রণালী নিয়ে আমরা দলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে গতরাতে কমিশনের কাছে আমাদের পরিমার্জিত মতামত জমা দিয়েছি। কমিশনের পক্ষে প্রস্তাবিত ৫৮ অনুচ্ছেদের সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য রয়েছে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে বা মেয়াদপূর্তির বাইরে ভেঙে গেলে তার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। এখানে কোনো ভিন্নমত নেই।“
বিএনপি তাদের প্রস্তাবে বাছাই কমিটিতে চারজন সদস্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) রাখার কথা বললেও মঙ্গলবারের আলোচনায় আরেকজন সদস্য যোগ করে মোট পাঁচজনের একটি বাছাই কমিটির প্রস্তাব দেয়। এই পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল থেকেও একজন প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে সেখানে।
এই কমিটি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর কাছ থেকে প্রার্থীদের নাম আহ্বান করবে এবং নাম যাচাই করে একজন প্রধান উপদেষ্টার নাম নির্ধারণের চেষ্টা করবে। যদি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো না যায়, তাহলে বিরোধী দল থেকে পাঁচজন, সরকারি দল থেকে পাঁচজন এবং তৃতীয় বৃহত্তম দল থেকে দুইজন করে মোট ১২ জনের তালিকা তৈরি হবে—যার মধ্য থেকে কমিটি একজনকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করবে।
তবে যদি এখানেও একমত হওয়া না যায়, তখন কমিশনের একটি প্রস্তাব ছিল ‘র্যাংক চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এ বিষয়ে বিএনপি একমত নয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা চাই বাছাই কমিটি যদি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাহলে ভালো। না হলে আমাদের প্রস্তাব, সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর (১৩তম) পদ্ধতি অনুসরণ করা হোক।”
তবে বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের বিধানটি বাতিলের সুপারিশ করেছে।
“তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে সংবিধানের ১২৩(৩) ধারা ও ৭২(১) ধারা সংশোধনের প্রয়োজন হবে। প্রথমটি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন হলে আগের সংসদের সদস্যদের বহাল থাকার বিতর্কিত বিধান সম্পর্কিত, আর দ্বিতীয়টি অধিবেশন আহ্বান নিয়ে ৬০ দিনের সময়সীমার সাথে সম্পর্কিত। বিএনপির মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে এসব অনুচ্ছেদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধনের প্রয়োজন হবে, এবং এতে কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক নেই।”
প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান হতে পারবেন না–জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এমন প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি ৭০ অনুচ্ছেদে যেমন ভিন্নমত (ডিসেন্টিং ভয়েস) রাখার সুযোগ রেখেছি, এটিও সেভাবে রাখা যেতে পারে। আমাদের অবস্থান হল, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন বিধান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কোথাও নেই।
“এটা তার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। পার্লামেন্টারিয়ানরা যাকে চাইবেন, তিনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হবেনই, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, আবার তাকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেওয়ারও কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি হবেন কিনা এ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হতে পারেন, তবে দলীয় প্রধান হওয়া নিয়ে কিছু দলের দ্বিমত রয়েছে।”