আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটিতে ছিলাম। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। সরকার গঠনের আগে আমরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় গিয়েছিলাম। আমরা বিএনপি থেকে প্রতিনিধি দিতে বলেছিলাম। সেখানে সালেহউদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও আসিফ নজরুলের কথা বলা হয়।
আসিফ নজরুল ছাত্রদের পক্ষের লোক পরিচয় দিলেও তিনি আদৌ ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন না। বরং তিনি বিপ্লবকে নষ্ট করার জন্য বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছেন এবং অন্যান্য উপদেষ্টার মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করে নানাভাবে সংঘাত সৃষ্টি করেছেন। সেই সংঘাতের মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনী, এক-এগারো ও ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
আর্থিক খাত দখল করতে ভদ্রতার মুখোশ পরে বিএনপিকে সহযোগিতা করেছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ জন্য আমরা তাঁরও পদত্যাগ চাইছি। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসগুলো অস্থিতিশীল হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো বাধা দিয়ে রেখেছিলেন। সে জন্য তাঁর পদত্যাগ চাই।