২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকার কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। মহামারীর মধ্যে সরাসরি সভায় যোগ দিতে না পারায় নিজের দুঃখের কথা তিনি নেতাকর্মীদের বলেন।
“আজকে খুব দুঃখ যে আমি আপনাদের মাঝে আসতে পারলাম না এই জায়গায়। যাই হোক, এটা রাষ্ট্রীয় একটা বিষয় থেকে এই সমস্যা। কিন্তু আজকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আপনাদের সাথে কথা বলতে পারছি।”
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
তিনি বলেন, “আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সেজন্য আমি জয়কে ফোন করেছিলাম। তাকে ধন্যবাদও দিয়েছি যে তুমি যদি ডিজিটাল পদ্ধতি না করে দিতে তাহলে আজকে এভাবে আমরা আমাদের এই কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করতে পারতাম না। সবকিছু স্থবির হয়ে থাকত।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন জার্মানিতে। পরে মায়ের সঙ্গে জার্মানি থেকে ভারতে যান জয়। তার শৈশব-কৈশোর সেখানেই কাটে।
নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়া করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন।
‘ভিশন-২০২১’ প্রচারণা সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকার হলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৯ সাল থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
