সেই ’৯০-এর দশক থেকে ভারতের জাতীয় নির্বাচনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। কিন্তু একটা বিষয় আগে কখনোই দেখিনি। আর তা হলো দেশটিতে শুরু হওয়া নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফল আগে থেকে অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া। বরং এখন বিতর্কটা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কত বড় ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। (ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে সাত দফায় চলে ১ জুন শেষ হবে।)
মোদির সমালোচকেরা বলছেন যে তিনি নির্বাচনের ফল নিজের দিকে আনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছেন, সরকারি গোয়েন্দা ও অন্যান্য সংস্থাকে নিয়োগ করেছেন বিরোধীদের দমন করার জন্য। তারপরও এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেমন কোনো জনরোষ দেখা যায়নি। আর তাই প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র লৌহমানবের শাসন মেনে নিচ্ছে?
আমার অভিমত হলো যে আমরা একধরনের মৌন সমঝোতার দিক অগ্রসর হয়েছি, যেখানে দোদুল্যমান ভোটাররা মোদির অধীনে গণতন্ত্রের মন্দা মেনে নিয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত মোদি অর্থনৈতিক অগ্রগতি জারি রাখতে পারছেন, ততক্ষণ।