মস্তিষ্ক-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) আর কল্পবিজ্ঞান নয়—২০২৫ সালেই এটি সাধারণের নাগালে পৌঁছাতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে।

এই যন্ত্রের মাধ্যমে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এখন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। খুব শিগগিরই কেবল চিন্তার মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এমনকি অ্যাপল জানিয়েছে, ভবিষ্যতে মস্তিষ্কের মাধ্যমে তাদের আইফোনও চালানো যাবে।

বর্তমানে ১০০ জনেরও কম মানুষের শরীরে বিসিআই ইমপ্লান্ট রয়েছে। তবে নীরব প্রতিযোগিতায় রয়েছে চারটি বড় কোম্পানি—নিউরালিঙ্ক, সিনক্রন, প্রিসিশন নিউরোসায়েন্স ও প্যারাড্রমিকস—যারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রযুক্তি বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে চাইছে।

অ্যাপলের সঙ্গে কাজ করা সিনক্রনের প্রযুক্তি সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের রক্তনালীর মধ্য দিয়ে যন্ত্র প্রবেশ করায়, ফলে মাথার খুলিতে কাটা লাগেনা। তবে সিগনাল সংগ্রহে এটি তুলনামূলক কম কার্যকর এবং ব্যবহারকারীদের এখনো চোখের দৃষ্টি ও বড় চিন্তিত গতি ব্যবহার করতে হয়।

প্রিসিশন নিউরোসায়েন্স মস্তিষ্কের উপরের স্তরে যন্ত্র বসায়। এটি এখনো তারযুক্ত, তবে ভবিষ্যতে ওয়্যারলেস হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে এটি শুধুমাত্র চিন্তার মাধ্যমে কথা বলার সুযোগও করে দিতে পারে। এফডিএ অনুমোদনের পর ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ জনের শরীরে এটি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে, প্যারাড্রমিকস ও নিউরালিঙ্ক সরাসরি মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেকট্রোড প্রবেশ করিয়ে ডিভাইস বসায়। প্যারাড্রমিকস ইতোমধ্যে পশুদের ওপর পরীক্ষা শেষ করেছে এবং মানবদেহে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক তিনজন মানুষের শরীরে ইতোমধ্যে ডিভাইস বসিয়েছে, যার মাধ্যমে তারা শুধু চিন্তা করেই কম্পিউটারের কার্সর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে—মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রযুক্তির স্বাধীন ব্যবহার নিশ্চিত করা।

সূত্র: https://www.hindustantimes.com/trending/mindcontrolled-devices-are-already-here-and-2025-could-be-the-year-they-go-mainstream-101747541179366.html