বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে একটি হিংস্র ও সশস্ত্র হানাদার বাহিনী যাদের উদ্দেশ্য ছিল হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, বর্বরতা ও ভয়াবহ গণহত্যা। সেই বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে জীবনকে বাজি রেখে যারা মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোক্রমেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা কটাক্ষ করা যায় না। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়।’
গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব বলেন। ‘জিয়াউর রহমান সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে অবজ্ঞা, তাচ্ছিল্য এবং কটাক্ষজনক উল্লেখ করে প্রতিবাদও জানান তিনি।
বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, ‘পদ-পদবি বা কর্মে নিয়োজিত অবস্থা বা বেতন-ভাতা বীরত্ব নির্ণয়ের মাপকাঠি নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারীদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সরকার কি স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা এবং অকর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা নামে নতুন শ্রেণি বা বিভাজন সৃষ্টি করছেন?’
আবদুর রব বলেন, ‘বীরের বীরত্বকে খর্ব করা, খাটো করা বা অসম্মান করার মানসিকতা কোনোক্রমেই গ্রহণীয় নয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় বিদ্রোহ করে বাঙালি সৈনিকগণ অসম সাহসিকতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের এই অপরিসীম অবদান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কথায় কথায় তাঁদের অবদানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা খর্ব করার, সরকারের মানসিকতা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা নৈতিকভাবে এবং আইনগতভাবে গ্রহণীয় নয়। বরং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা আইনত দণ্ডনীয় করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ কারো একক অবদান নয়- ক্ষমতাসীন সরকার এই সত্য অনুধাবন করতে পারলেই কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং মর্যাদা সুরক্ষিত হবে।’