টেলিকম খাতে পেশা শুরু করে সেই জগতে প্রতিষ্ঠিত হলেও ভবিষ্যতে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেই দেখতে চান রুবাবা দৌলা। দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে নিজের একটা ‘নতুন পরিচয়’ তৈরি করতে চান মোবাইলফোন অপারেটর এয়ারটেলের এই চিফ সার্ভিস অফিসার। বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান তার এই স্বপ্নের কথা।

রুবাবা দৌলা কথা বলেছেন দেশের টেলিকম খাত, ডাটার ভবিষ্যত গন্তব্য, প্রযুক্তিতে নারী, নারীর ক্ষমতায়ন, এয়ারটেলের মার্জারসহ বিভিন্ন বিষয়ে। তিনি মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার আগে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এরপর তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে, সেই সঙ্গে নারী শিক্ষাটাও জরুরি।

রবিতে এয়ারটেলের মার্জ হওয়া বিষয়ে রুবাবা দৌলা বলেন,এটা অনেক ভালো একটা সিদ্ধান্ত। রবির এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্ত হলে দারুণ কিছু হবে। এয়ারটেলের সেবা পুরোটাই তারুণ্যনির্ভর। আর রবি কর্পোরেট কেন্দ্রিক। তাই এই দুটি কোম্পানি যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে অনেক লাভবান হবে আমাদের গ্রাহকরা।  

তিনি মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার আগে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এরপর তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে, সেই সঙ্গে নারী শিক্ষাটাও জরুরি।

বাংলা ট্রিবিউন: দেশের টেলিকম সেবাখাত নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

রুবাবা দৌলা: যদি আমাদের টেলিকমের ইতিহাস দেখেন, শুরুতে আমরা সাধারণ ভয়েস প্রযুক্তি ব্যবহার করতাম, যা কেবল একে অপরের সঙ্গে কথা বলার জন্য ছিল। এরপর এর সঙ্গে কিছু ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস যুক্ত হলো। যেমন এসএমএস বেজড কনটেন্ট। এরপর টুজি থেকে আমরা টু পয়েন্ট ফাইভ-জিতে গেলাম। এরপর যখন থ্রিজি এলো, সেখানে আমরা দেখতে পেলাম ব্যাপক আকারে ডাটার ব্যবহার, প্রসারও। ভোক্তারা এখন আর ট্যারিফ (মূল্য) নিয়ে মাথা ঘামায় না। তবে এক সময় মূল্যযুদ্ধ ছিল। এখন আর সেটা নেই। কনটেন্ট প্রোভাইডিংয়ের ক্ষেত্রে সবার সঙ্গে সব অপারেটরের সংযোগ আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এখন যদি আমরা নিজেদের আলাদা করতে চাই তাহলে কীভাবে করব? এটা একমাত্র অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সম্ভব। ভিন্নতা তৈরি হয় সেবার ধরনের মাধ্যমে। বাংলাদেশে এখন দুই প্রকারের সেবা চলছে। এক. কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সমাধান নেওয়া। দুই. সেলফ সার্ভিস। সেলফ সার্ভিসে টেলিকম খাতে আমরা আইভিআর প্রযুক্তির ব্যবহার দেখি। আপনি ফোন করে এক দুই তিন... বাটন চেপে আপনার কী দরকার তা জেনে নিতে। এরজন্য কোনও মানুষের সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হচ্ছে না।

বাংলা ট্রিবিউন: সেবাটা কি তাহলে ডাটার দিকে চলে যাচ্ছে?

ভবিষ্যতে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান রুবাবা

রুবাবা দৌলা: আমার মতে, অনেক সেবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। একজন ভোক্তার জন্য ওয়ান স্টপ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে এক জায়গা থেকে সবকিছু পাওয়া যায়। সার্ভিস বা সেবা বাড়ানোই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যেখানে আমাদের অভিজ্ঞতাটা ভিন্নতা তৈরি করতে পারবে। আমাদের সবাইকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। কাস্টমার সার্ভিস কেবল যারা সার্ভিস প্রদান করে তাদের দায়িত্ব নয় বরং এই দায়িত্ব কোম্পানির প্রতিজন কর্মকর্তা কর্মচারীরও। একটি সিম বিক্রি করাও একটি সার্ভিস। মূল কথা হচ্ছে, টেলিকমের এখন যে অবস্থান, আমরা এখন অনেক বেশি ‘ডাটা সেন্ট্রিক’ হয়েছি। তাই ডিজিটালি আমরা এই সেবাগুলোকে কিভাবে আরও সহজ করতে পারি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

এয়ারটেলে তিন বছর আগে আমরাই প্রথম চালু করি অনলাইন এয়ারটেল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। আমাদের যে ফ্ল্যাগশিপ স্টোর আছে সেগুলোকে আমরা বলি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। সেগুলো আমরা হুবহু অনলাইনে নিয়ে আসি। এরজন্য আমরা পুরস্কারও পেয়েছিলাম। সেটাতে একজন কাস্টমার নিজের নম্বর দিয়ে ঢুকে এয়ারটাইম রিচার্জ, থ্রিজি কাভারেজ কোথায় কোথায় আছে এসব মানুষ খুব সহজেই জানতে পারত। সবকিছু ছবি দিয়ে হওয়ায় গ্রাহকরা ভিজ্যুয়ালি ভালোভাবে বুঝতে পারে। এভাবে আস্তে আস্তে পরিবর্তনটা আনতে হবে।

আমি যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারগুলোতে যাই সেখানে দেখি সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই জানে যে, সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছি আমরা। বাংলাদেশের নারীরা সৃষ্টিশীল, অনেক কিছু করতে পারে। তাই কেবল টেলিকম খাতে যুক্ত হতে না চেয়ে বাসাবাড়িতেও অনেক ধরনের প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় সেগুলোর দিকে মনোযোগ দিলেও তারা ভালো করবে।

রুবাবা দৌলা: নারী ও প্রযুক্তি বা প্রযুক্তিতে নারী- বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?

রুবাবা দৌলা: আমি ১৯৯৮ সালে টেলিকমে জয়েন করি তখন খুব কম সংখ্যক নারী ছিলেন টেলিকম খাতে। কিন্তু এখন অনেক নারী চাচ্ছেন টেলিকম খাতে আসতে। তারা শুধু যে কর্পোরেট পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে আসছেন তা নয়। অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবেও আসছেন। এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বেসিসের অধীনে অনেক নারী ফ্রিল্যান্সার বাসায় বসেই সফটওয়্যার ডেভেলপ করছে। এটা দেখতে খুবই ভালো লাগে। আশার কথা হচ্ছে, আমাদের মেয়েদের মধ্যে অনেক উদ্যম আছে। আমি যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারগুলোতে যাই সেখানে দেখি সবাই পারফর্ম করতে চায়। সবাই জানে যে, সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছি আমরা। বাংলাদেশের নারীরা সৃষ্টিশীল, অনেক কিছু করতে পারে। তাই কেবল টেলিকম খাতে যুক্ত হতে না চেয়ে বাসাবাড়িতেও অনেক ধরনের প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় সেগুলোর দিকে মনোযোগ দিলেও তারা ভালো করবে।

যেহেতু টেলিকম খাতে ভোক্তার সংখ্যা অনেক বেশি, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৪ শতাংশের মতো। তাই এই খাতেই অনেক সেবা যুক্ত হচ্ছে। আমরা শিক্ষাসেবা নিয়ে আসছি। স্বাস্থ্যসেবা ও কৃষিসেবাও যুক্ত হয়েছে। এসব সার্ভিসকে যদি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সংযুক্ত করে সরবরাহ করতে পারি তাহলে হাতের মুঠোতেই চলে আসবে সব সেবা। এতে এসব সার্ভিস অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবে। আজ যদি মফস্বলের একজন রোগী ভালো ডাক্তার দেখাতে চায় তাকে ঢাকায় এসে অপেক্ষা করে ডাক্তার দেখাতে হয়। সেটিকে যদি আমরা মোবাইলে নিয়ে আসতে পারি তাহলে তা অনেক সহজেই হয়ে যাবে। ই-লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে দেশের এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্ত থেকে শিক্ষা নেওয়া যাচ্ছে। অর্থনৈতিক খাতে মোবাইল ওয়ালেটের মধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’তে আরও অনেক বেশি মানুষকে সংযুক্ত করার জায়গা আছে।

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে চান রুবাবা

বাংলা ট্রিবিউন: নারীর ক্ষমতায়নে প্রযুক্তি কি কোনও অবলম্বন বা মাধ্যম হতে পারে?

রুবাবা দৌলা: নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। প্রথমে আমাদের নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে হবে। এরপর অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের অবশ্যই নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তার আগে নিশ্চিত করতে হবে নারীরা শিক্ষা পাচ্ছে। সহিংসতা কমাতে এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশে জানানো, আইনী সহায়তা প্রদান এসব কিছু ইতিমধ্যে চালু আছে। কিছু কিছু অ্যাপ আছে যেগুলোর মাধ্যমে সরাসরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রিপোর্ট করা যায়।

নারীদের অনেক সমস্যা আছে যেগুলো সবার সামনে বলা যায় না, সেগুলোর জন্য অ্যাপ আছে। শিক্ষার কথা যদি বলি, এখন ইন্টারনেটে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নারী এখন ঘরে বসেই অনেক কিছু শিখতে পারছে। ই-লার্নিং বাড়ছে। ইউটিউব দেখে দেখে অনেকেই এখন বাসায় বসে ক্যাটারিং ব্যবসা করছে। অনেকে শিক্ষকতা করছে। এটা প্রযুক্তির অবদান বলতেই হবে।

প্রযুক্তি হচ্ছে একটা প্ল্যাটফর্ম। এটা তৈরি করে দিতে হয়। যখন কেউ উদ্যোক্তা হতে চায় প্রথমে আইডিয়াটা তাকেই বের করতে হবে। এরপর দেখতে হবে আমাদের দেশে এটি বাস্তবসম্মত কিনা। আর যদি বিদেশে পণ্য বিক্রি করতে চায় তাহলে দেখতে হবে বিদেশে কিসের চাহিদা আছে। এরপর আসছে পুঁজির বিষয়। আমাদের দেশে কিছু কিছু ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা আছে। কিছু স্টার্টআপের সুবিধা আছে। এগুলো যে আছে এটা কতজন জানে। সেজন্য আমাদের সচেতনতাটাও খুব ভালোভাবে সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া আমরা যারা ইতিমধ্যে প্রযুক্তিখাতে কাজ করছি, তাদের প্রয়োজন- যারা নতুন করে আসতে চায় তাদের উৎসাহিত করা। এম-কমার্স, ই-কমার্সের মাধ্যমে এখন অনেকেই ব্যবসা করছে।

বাংলা ট্রিবিউন: উদ্যোক্তা হতেও তো নারীকে সহযোগিতা করছে প্রযুক্তি।

রুবাবা দৌলা: প্রযুক্তি হচ্ছে একটা প্ল্যাটফর্ম। এটা তৈরি করে দিতে হয়। যখন কেউ উদ্যোক্তা হতে চায় প্রথমে আইডিয়াটা তাকেই বের করতে হবে। এরপর দেখতে হবে আমাদের দেশে এটি বাস্তবসম্মত কিনা। আর যদি বিদেশে পণ্য বিক্রি করতে চায় তাহলে দেখতে হবে বিদেশে কিসের চাহিদা আছে। এরপর আসছে পুঁজির বিষয়। আমাদের দেশে কিছু কিছু ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা আছে। কিছু স্টার্টআপের সুবিধা আছে। এগুলো যে আছে এটা কতজন জানে। সেজন্য আমাদের সচেতনতাটাও খুব ভালোভাবে সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া আমরা যারা ইতিমধ্যে প্রযুক্তিখাতে কাজ করছি, তাদের প্রয়োজন- যারা নতুন করে আসতে চায় তাদের উৎসাহিত করা। এম-কমার্স, ই-কমার্সের মাধ্যমে এখন অনেকেই ব্যবসা করছে।

বাংলা ট্রিবিউন: আমরা কি শিগগিরই ভয়েস ছেড়ে ডাটাতে চলে যাব?

রুবাবা দৌলা: আমার মনে হয় ভয়েস থেকে ডাটায় খুব সহসাই চলে যাওয়া যাবে না। এখনও ভয়েস কলের হার ৬০-৭০ ভাগ। এটা ঠিক যে তরুণরা ডাটা ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। একসময় যখন সবাই ধীরে ধীরে ডাটার দিকে ঝুঁকে পড়বে, তখন এটা পুরো ডাটা কেন্দ্রিক হয়ে যাবে।

বাংলা ট্রিবিউন: মোবাইলফোন অপারেটরগুলো এখন নিজেদেরকে ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার বলছে।

রুবাবা দৌলা: বর্তমান সময়ে অনেকেই ভাইবার, হোয়াটসআপ ব্যবহার করছে। অনেক কিছুই এখন ডাটা সেন্ট্রিক হয়ে গেছে। ভোক্তার যত ধরনের প্রয়োজন আছে সবকিছু মোবাইলে সংযুক্ত হচ্ছে। এজন্য এসবকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল সার্ভিস। সেই সঙ্গে পুরো বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্তি আছে। এজন্য মোবাইলফোন অপারেটররা নিজেদের ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার বলছে।

প্রযুক্তি নারী উদ্যোক্তাদের একটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে

বাংলা ট্রিবিউন: এয়ারটেল মার্জ হচ্ছে রবির সঙ্গে। আপনার অভিমত জানতে চাই।

রুবাবা দৌলা: আমাদের দেশে ছয়টি অপারেটর, এর মধ্যে পাঁচটি জিএসএম, একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির। এর চারটিই বেসরকারিভাবে পরিচালিত। এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। রবির মতো একটি কোম্পানি, এয়ারটেলের মতো একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলে দারুণ কিছু হবে। কারণ এয়ারটেলের সেবা পুরোটাই তরুণ কেন্দ্রিক। আর রবি কর্পোরেট কেন্দ্রিক। তাই এই দুটি কোম্পানি যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে অনেক লাভবান হবে আমাদের গ্রাহকরা। এরফলে দুই কোম্পানির কাভারেজই অনেক বাড়বে। এয়ারটেলের গ্রাহকরা অনেক বেশি জায়গায় নেটওয়ার্ক পাবে। রবির গ্রাহকরাও এয়ারটেলের সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এই দুটি অপারেটরই কিন্তু আন্তর্জাতিক কোম্পানি। সুতরাং তাদের অভিজ্ঞতাটাও একসঙ্গে হচ্ছে। তাই আমরা ভোক্তাদের আরও সেরা সেবা দিতে পারব। এই দুই কোম্পানি যুক্ত হলে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক কাস্টমার কেয়ার হবে। যা সেবার পরিমাণকে বাড়াবে। এছাড়া দুই কোম্পানির কর্মীরা যখন যুক্ত হবে তখন গ্রামীণফোনের সঙ্গে একটা ভালো প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারবে। মূল কথা হলো, ভোক্তারা সুবিধা পাবে এবং আরও ভালো সেবা পাবে। গ্রাহকরা থ্রিজি ভালোভাবে পাবে, আরও ভালোভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। আর পরিবর্তন তো হবেই। আমাদের সময়ের সঙ্গে ভোক্তার প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই চলতে হবে। যদি এয়ারটেল রবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও ভালো সেবা দিতে পারে তাহলে কেন নয়?

আমি নিজেকে যখন নিজেই জিজ্ঞেস করি তখন দেখি আমার আরও অনেক কিছু করার আছে। এতো মজার মজার সব প্রযুক্তি আছে যেগুলো নিয়ে কাজ করা যায়। আইসিটির মধ্যেই অনেক কিছু করার আছে। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। আমি এমন কিছু প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চাই যেটার একটি বড় উদ্দেশ্য আছে।

বাংলা ট্রিবিউন: থ্রিজি এখনও সবার হাতে পৌঁছেনি, তাহলে প্রসার হবে কিভাবে?

রুবাবা দৌলা: মোবাইলফোনের প্রসারের জন্যপ্রযুক্তির প্রসার হচ্ছে। তবে ডিভাইসের প্রসার আরও অনেক হতে হবে। এখন ৩৪-৪০ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে, এই সংখ্যাকে ৭০-৮০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। কারণ ডিভাইস না থাকলে তথ্যের নাগালই পাওয়া যাবে না। আমরা পলিসি পরিবর্তন করে যদি স্থানীয়ভাবে মোবাইল ডিভাইস তৈরি করতে পারি তাহলে দামও কমবে, প্রসারও বাড়বে।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাই।

রুবাবা দৌলা: আমারতো শুরুই হয়েছে কর্পোরেট সেক্টর দিয়ে। আমি টেলিকম খাতেই কাজ শুরু করি। গ্রামীণফোনে ছিলাম ১২ বছর, এয়ারটেলে আছি ৬ বছর হলো। এয়ারটেল এখন রবির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সুযোগও আছে ভালো। তবে আমি নিজেকে যখন নিজেই জিজ্ঞেস করি তখন দেখি আমার আরও অনেক কিছু করার আছে। এতো মজার মজার সব প্রযুক্তি আছে যেগুলো নিয়ে কাজ করা যায়। আইসিটির মধ্যেই অনেক কিছু করার আছে। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। আমি এমন কিছু প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চাই যেটার একটি বড় উদ্দেশ্য আছে।

বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

রুবাবা দৌলাবাংলা ট্রিবিউনকেও অনেক ধন্যবাদ।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

শ্রুতি লিখন: এম এম রহমান

/এইচএএইচ/



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews