চট্টগ্রাম ব্যুরো
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের ভাই, ভাগিনা, মেয়ের জামাইসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার রোববার এ মামলা দু’টি করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ধারাগুলো : ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) (৩)।
মামলার আসামিরা হলেন- সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ মোহসিন (৬৫), তার স্ত্রী মাহমুদ সাজিদ কটন মিলসের চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী (৬০), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী (৬৫), ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (৫৯), সাবেক পরিচালক ও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের মেয়ে জামাই বেলাল আহমেদ (৪০), সাবেক পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ (৭০), সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ ফারুক (৭১), সাবেক পরিচালক আরিফ আহমেদ (৪৩), এস আলমের ভাই ওসমান গনি (৫৮), মায়মুনা খানম (৩৪), সাবেক পরিচালক সরোয়ার জাহান মালেক (৬২), সাবেক পরিচালক ও এস আলমের ভাগিনা মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল (৩৮), সাবেক পরিচালক শাহানা ফেরদৌস (৪৯), সাবেক পরিচালক সাজেদা নুর বেগম (৫৮), সাবেক পরিচালক বোরহানুল হাসান চৌধুরী (৩৭), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা (৭৬), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক এস এ এম সলিমউল্লাহ (৭৫), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: গোলাম সারওয়ার (৭১), সাবেক এসভিপি অ্যান্ড হেড অব ক্রেডিট মোহাম্মদ মাহমুদ আলম (৫৪), ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মশিউর রহমান জাহেদ (৬৮), এসএভিপি অ্যান্ড ম্যানেজার মো: শামসুল আলম (৫২), এসপিও অ্যান্ড ম্যানেজার অপারেশন মুন্নশ্রী চক্রবর্তী (৪৯), প্রিন্সিপাল অফিসার মো: হাসান আলী (৪৫), জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম (৩৯), মো: মিজানুর রহমান এবং নিগার সুলতানা (৩৯)। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সাদ মুসা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মাহমুদ সাজিদ কটন মিলসের হয়ে দু’টি ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়- ১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমদ জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের (বর্তমান গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) খাতুনগঞ্জ শাখায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়াই জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দু’টি ঋণের মাধ্যমে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার এবং ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।