২০১৫ সালে এরশাদ হোসেন নামে এক জেএমবি সদস্য চট্টগ্রামে গ্রেফতারের পর আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ৩৫ জঙ্গির নাম বলে।

এরমধ্যে তিনজন বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়েছে। এর একজন রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ রাজিব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।অপর দু’জন- রাজু ওরফে নুরনবী ও মো. হাসান। কিন্তু বাকী ৩২ জঙ্গি কোথায় আছে তাদের সঠিক নাম-ঠিকানা ও পরিচয় পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।পাশাপাশি তাদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে পুলিশ সদর সফতর, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিটে। এ জঙ্গিরা আÍগোপনে থেকেই কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা।সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ নগরীর আকবর শাহ থানাধীন মনসুরাবাদের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ এরশাদ হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।এ মামলায় ২৯ মার্চ এরশাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবাবন্দিতে চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার ৩৫ জঙ্গির বিষয়ে তথ্য দেয়।এরা হল দিনাজপুর জেলার বিরল থানার বালান্দোর গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন, জেলা পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা হুসাইন, বিভাগীয় পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা সাগর, কফিল উদ্দিন, রানা, রনি, জাহিদ, জনি, ওমায়ের, সৈকত, সুজন, সাইফুল, মামুন, সুমন, ওবায়দা, হাসান, সাকিব, জুবায়ের, আরিফ, নজরুল, বগুড়া জেলার দায়িত্বশীল রিপন, প্রশিক্ষক এহসান, হাফেজ রায়হান ও জাহেদ।আর চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা হল ফারদিন, ফুয়াদ, মাহবুবুর রহমান খোকন, সাইফুল, জাহিদ, মাহফুজ, তাসনিম, হাফেজ রায়হান, ফরহাদ, রাজু ও রাজীব গান্ধী।তবে জঙ্গি সদস্য এরশাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে ৩৫ জঙ্গির কারও নাম ওঠে আসেনি। জবানবন্দিতে আসা জঙ্গিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।তবে এ মামলার অভিযোগপত্রে গ্রেফতার এরশাদ, নব্য জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বশীল বুলবুল আহাম্মদ সরকার ওরফে এমএ হাসান ফুয়াদ ওরফে আপেল ওরফে মেহেদী, মো. সুজন, মাহাবুবুর রহমান ওরফে খোকনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।চলতি বছরের ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর পিপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার তদন্ত ভার যায় পিবিআই’র কাছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন পিবিআই ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমার চাকমা।তিনি যুগান্তরকে বলেন, এটি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি আলোচিত মামলা। এ মামলার প্রধান আসামি এরশাদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেফতার করা গেলে দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার অনেকটাই কমে আসবে।তিনি বলেন, এ মামলায় রাজিব গান্ধীকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলায় রাজু ওরফে নুরনবী ও মো. হাসানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদেরকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, এরশাদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তারা ভয়ঙ্কর জঙ্গি। তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেফতার করা প্রয়োজন।নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মো. তানভীর জানান, এরশাদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তাদের তালিকা আমাদের কাছে আছে। তবে সুনির্দিষ্ট পরিচয় ও ঠিকানা না থাকায় তাদের অনেককে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে এরশাদের জবানবন্দিতে আসা জঙ্গিদের নামের তালিকা পুলিশ সদর সফতর, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews