অ্যাপলের ‘অ্যাপ স্টোর’ এবং গুগলের ‘গুগল প্লে’তে গেইম দুটি আছে ‘গ্যারিনা ফ্রি ফায়ার’ এবং ‘গ্যারিনা ফ্রি ফায়ার ম্যাক্স’ নামে। বিনা খরচে ডাউনলোড করা যায় উভয় গেইম।

ছবি: ক্র্যাফটনের মামলার নথি থেকে।

ক্র্যাফটন বলছে, “ফ্রি ফায়ার এবং ফ্রি ফায়ার ম্যাক্স ব্যাপকহারে ব্যাটলগ্রাউন্ডসের অসংখ্য বিষয় নকল করেছে। এর মধ্যে আছে ব্যাটলগ্রাউন্ডসের কপিরাইট করা ‘এয়ার ড্রপ ফিচার’, গেইমের কাঠামো এবং খেলার প্রক্রিয়া, কালার স্কিম, টেক্সচার।” এ ছাড়াও গেইমের পুরো ‘উইপন মেটা’ নকলের অভিযোগও তুলেছে ক্র্যাফটন।

ছবি: ক্র্যাফটনের মামলার নথি থেকে।

ছবি: ক্র্যাফটনের মামলার নথি থেকে।

গ্যারিনা নকল গেইম থেকে শত কোটি ডলার কামাই করেছে এবং অ্যাপল ও গুগল নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে নকল গেইমগুলোর বাজারজাতকরণে অংশ নিয়েও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে বলে অভিযোগ ক্র্যাফটনের।

ক্র্যাফটন গেল বছরের ২১ ডিসেম্বর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।। গ্যারিনাকে ফ্রি ফায়ার এবং ফ্রি ফায়ার ম্যাক্স-এর মাধ্যমে পাবজি’র নকল করা বন্ধ করতে বলেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার গেইম নির্মাতা। ক্র্যাফটনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে গ্যারিনা। গুগল আর অ্যাপলকেও নকল গেইমের বাজারজাতকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এখনো উভয় প্ল্যাটফর্মে বিদ্যমান আছে গ্যারিনার গেইম দুটি।

ছবি: ক্র্যাফটনের মামলার নথি থেকে। 

ছবি: ক্র্যাফটনের মামলার নথি থেকে। 

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, গ্যারিনার সঙ্গে বিবাদ মেটাতে ‘জুরি ট্রায়াল’--এর আবেদন করেছে ক্র্যাফটন। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে। তবে, মামলায় জিততে হলে শুধু জুরির মন জিতলেই হবে না, আইনের চোখে অভিযোগগুলো প্রমাণ করতে হবে ক্র্যাফটনকে।

এই প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি গুগল ও অ্যাপল। তবে গ্যারিনা’র মূল প্রতিষ্ঠান ‘সি’-এর মুখপাত্র জেসন গলজ-এর দাবি, “ক্র্যাফটের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews