ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে জানিয়েছেন, মিনদানাও দ্বীপে জারি করা মার্শাল ল পুরো দেশে জারি করা হতে পারে। ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মার্শাল ল জারি রাখার পক্ষে তিনি। মঙ্গলবার দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিনদানাও-য়ে মার্শাল ল জারি করেন দুয়ার্তে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দুয়ার্তে জানান, দক্ষিণের দ্বীপটিতে এক পুলিশ সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর অন্তত আরও তিন সদস্যের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। এই ঘোষণার পর মাউতে নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী ওই এলাকার একটি গির্জায় ঢুকে পুরোহিতসহ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার যে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে, তাদের ফিরিয়ে না নেওয়া হলে জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ফিলিপাইনের মারাউয়ি শহরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর সামরিক আইন জারি করা হয়। আবু সায়াফ জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা ইসনিলন হাপিলনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। হাপিলন ফিলিপাইনে আইএস-এর প্রধান। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ধরার জন্য অর্ধকোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেঞ্জানা বলেন, সামরিক আইন জারির কারণে নিরাপত্তাবাহিনী সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অভিযোগ ছাড়াই তিন দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, আবু সায়াফ ও মাউতে ছাড়াও বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে। তাদের মধ্যে বিদেশিদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের জন্য পরিচিত আবু সায়াফ। এছাড়া দেশটিতে চালানো কয়েকটি বড় হামলার জন্যও তাদের দায়ী করা হয়। ২০০৪ সালে একটি ফেরিতে হামলা চালিয়ে একশ' জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে আবু সায়াফ। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/এমএনএইচ/