সভ্যতার ধ্বজাধারী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সবসময়ই মানবতা, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বুলি আওড়িয়ে থাকে। তারা ন্যায়পরায়ণতা ও সততার বাণী প্রচার করে বেড়ায় বিশ্বজুড়ে। কিন্তু তাদের এসব তৎপরতা সুস্পষ্টভাবে নীতিভ্রষ্ট এবং পক্ষপাতদুষ্ট। বস্তুতপক্ষে তাদের ন্যায়পরায়ণতা ও মানবাধিকার নিজস্ব ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থের আলোকেই বিবেচনা করে থাকে। বর্ণবাদ ও গোষ্ঠীপ্রীতিতে তারা বুঁদ হয়ে থাকে।

গত ১৩ জুন ভোরে ইসরাইল অতর্কিতভাবে ইরানে ভয়াবহ হামলা চালায়। ইরানও পাল্টা হামলা করে ইসরাইলকে। ১৬ জুন কানাডায় ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, জার্মানি ও জাপান’ এই জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন শেষে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়- ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরান হলো সন্ত্রাসবাদের উৎস। ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়’ (প্রথম আলো, ১৮ জুন ২০২৫)। তারা ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক হারে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানালেও ‘ইরান-ইসরাইল’ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কিছু বলেনি। হয়তো বা তারা ধরেই নিয়েছিল ইরানের পরাজয়ের মাধ্যমেই আঞ্চলিক উত্তেজনার হ্রাস হবে!

এই বিবৃতিতে প্রথমেই বলা হয়েছে, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে! এই আত্মরক্ষার বিষয়টি আসলে পুরোটাই উল্টো; বরং ফিলিস্তিন ও ইরানই আত্মরক্ষার অধিকারের জন্য লড়ছে। ১৯৪৮ সালে এই পশ্চিমাদের সহযোগিতায় জায়নবাদীরা ফিলিস্তিনিদের ভূমি জবরদখল করে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্ম দিয়েছিল। গত ১৩ জুন ইসরাইল হঠাৎ আক্রমণ করে ইরানকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। তাদের প্রথম সারির সব সামরিক অফিসার ও পরমাণু গবেষকদের হত্যা করেছে। এখন আত্মরক্ষার অধিকার তো ইরানের থাকাই বাঞ্ছনীয়। ইরান তাই প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধ চালিয়েছে। ইরানের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণই ছিল ইরানের ভেতরে ইসরাইলের আক্রমণের পাল্টা জবাব। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘নাকবা’ নামের কিয়ামত চাপিয়ে দিয়েছিল। ‘নাকবায়’ সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের বাস্তুভিটা থেকে তাড়িয়ে (৪০০ গ্রাম ধ্বংস করে) ইহুদিরা দখল করে নিয়েছিল। সেই থেকে তারা প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের বসতবাড়ি দখল অব্যাহত রেখেছে।

ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে অবরুদ্ধ করে পরাধীন করে রেখেছে গত ৭৫ বছর ধরে। ফিলিস্তিনিদের প্রাণের সম্পদ ‘মসজিদুল আকসা’কে যখন-তখন অপবিত্র করছে। প্রার্থনারত ফিলিস্তিনিদের লাথি দিয়ে বুটের আঘাতে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে বার বার। যখন-যাকে খুশি ইসরাইলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ধরে নিয়ে জেলে পুরে রাখছে, নির্যাতন করছে। ফিলিস্তিনি শিশুরা যখন ইসরাইলি পুলিশের এই বাড়াবাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ইট-পাটকেল ছুড়ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী তখন গুলি ছুড়ছে। তারা শিশুদের ইট-পাথর নিক্ষেপের জবাবে বিমান দিয়ে ফিলিস্তিনি বসতিগুলোর ওপর বোমা হামলা করছে। এসবই ‘আইডিএফ’ করছে তাদের আত্মরক্ষার জন্য! পশ্চিমা মানবাধিকারবাদীরা সবসময় আত্মরক্ষার জন্য ‘সমানুপাতিক’ শক্তি প্রয়োগের নসিহত করে থাকে। কিন্তু ইসরাইলি ‘আইডিএফ’ বারবার বিমানবাহিনী ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের ইট-পাটকেলের জবাব দিলেও এ ক্ষেত্রে পশ্চিমারা ‘অসামঞ্জস্য শক্তি’ (Disproportionate Force) প্রয়োগের ঘটনা দেখতে পায় না।

নীরব বিশ্ববাসীর চোখের সামনে মার খেয়ে খেয়ে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য নিজস্ব স্বাধীনতাকামী মিলিশিয়া বাহিনী ‘হামাস’ প্রতিষ্ঠা করে। এই হামাস মিলিশিয়ারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ সামরিক ও বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় ‘আইডিএফ’ অব্যাহতভাবে গাজা আক্রমণ করে গত ২০ মাসে ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যা করে। ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই নিরীহ নিরস্ত্র নারী-পুরষ। তার মধ্যে রয়েছে ১৯ হাজার শিশু (এক হাজার ৯১ জন ১২ মাসের কম বয়সী এবং ২৩৮টি শিশু সদ্যভূমিষ্ঠ)। মোট নিহতের ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। বাকিরা বৃদ্ধ ও নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ।

গাজার প্রায় ৯২ শতাংশ স্থাপনা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি সব ধ্বংস করা হয়েছে। দুই হাজার ২০০ পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ৩৬০ বর্গকিলোমিটার উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের ওপর ২০ মাস ধরে এক লাখ টন বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। দীর্ঘ ৮০ দিন সব ত্রাণ সরবরাহ আটকে রাখা হয়েছে। এর বিপরীতে আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ সংস্থা ‘জিএইচএফ’ স্থাপন করেছে। এসব ‘জিএইচএফ’ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গাজার ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে ত্রাণ দেয়ার নামে জড়ো করে ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করে নির্বিচারে গত কয়েক সপ্তাহে পাঁচ শতাধিক ক্ষুধার্ত মানুষকে হত্যা এবং চার হাজার জনকে আহত করেছে। এমন গণহত্যা ইসরাইলের আত্মরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি! আর এসব হত্যাকাণ্ডে আমেরিকা সরাসরি সাহায্য করছে। ২০২৪ সালে মার্কিন প্রশাসন ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এটি ছিল ইসরাইলের জন্য আমেরিকার দেয়া এক বছরের সর্বাধিক সামরিক সহায়তা।

জি-সেভেনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ইরান হলো সন্ত্রাসবাদের উৎস। কিন্তু বিশ্ববাসী দেখছে সন্ত্রাসবাদ কারা চালাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, খ্রিষ্টপূর্ব ৭০ সাল থেকেই জায়নবাদী ‘সিকারি’ নামক গোষ্ঠী গুপ্তহত্যার মাধ্যমে সন্ত্রাস চালিয়েছে। ১৯৪৬ সালে জেরুসালেমে কিং ডেভিট হোটেলে জায়নবাদী ‘ইরগুন’ এবং ‘স্টার্নগ্যাং’ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী বোমা মেরে ব্রিটিশ সেনাসহ ৯১ জনকে হত্যা করেছিল। ১৯৬৭ সালে মার্কিন গোয়েন্দা জাহাজ ‘ইউএসএস লিবার্টি’তে হামলা চালিয়েছিল। মার্কিন জেড বিমান ও টর্পেডো বোট ব্যবহার করে তারা ৩৪ মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেছিল। বর্তমান বিশ্বেও ইসরাইল প্রতিদিন অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ২০২৪ সালে সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ইরানি জেনারেলসহ বহু ইরানি নাগরিককে হত্যা করেছে। গত এক বছরে গাজায় হামাসের সাতজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে। লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে।

হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধের নামে চার হাজার নিরস্ত্র লেবাননবাসীকে হত্যা করেছে। এমনকি ইরানের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ‘ইবরাহিম রাইসি’ নিহতের ঘটনায়ও মোসাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার সক্ষমতার জন্য ইসরাইলের মোসাদ কুখ্যাতি অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকেই ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বারবার একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য উপস্থাপন করছে। এই রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠাতা নেতা থিওডর হার্জল, ডেভিড বেন-গুরিয়ান, বারুক গোল্ড স্টেইন- এরা সবাই ইতিহাসের পাতায় সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। গত বছর সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর ‘আইডিএফ’ বিনা উসকানিতে সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থাপনায় একের পর এক বিমান হামলা চালিয়েছে। তারা সম্প্রতি ইরানে আক্রমণের আগে ইয়েমেনেও কয়েকবার হামলা করেছে। অর্থাৎ ইসরাইলের কাছ থেকে তার আশপাশের কোনো দেশই নিরাপদ নয়। সুতরাং এটি স্পষ্ট, মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসবাদের উৎস হলো ইসরাইল।

অন্যদিকে, ইরান আজ পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রে হামলা করেছে- তার কোনো উদাহরণ নেই। আশির দশকে মার্কিন মদদে ইরাক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল ইরানের ওপর। দীর্ঘ আট বছর যুদ্ধের পর ইরানের আগ্রহেই সেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। তবে ইরানের প্রক্সি বাহিনীগুলো নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। প্রকৃতপক্ষে হিজবুল্লাহ, হামাস, হুতি ও ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদেরই বাইপ্রোডাক্ট। এসব গোষ্ঠী ইসরাইলের সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষার জন্যই সৃষ্টি হয়েছিল। নৈতিক ও গোষ্ঠীগত স্বার্থের কারণেই ইরান এদেরকে সমর্থন করে থাকে। এসব আলোচনা বিবেচনায় রেখেই সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, মূলত ইসরাইল রাষ্ট্রটিই সন্ত্রাসের উৎস। সর্বশেষ যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াই বিনা উসকানিতে ইরান আক্রমণ ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদী চরিত্রেই প্রতিফলন ঘটেছে। সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিনাযুদ্ধে হামলা চালিয়ে একটি সার্বভৌম দেশের প্রায় সব সামরিক কমান্ডার ও অযোদ্ধা বেসামরিক বিজ্ঞানীদের হত্যা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

‘ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়’ বলে উল্লেখ করেছেন জি-সেভেন নেতারা। পশ্চিমাদের এটা যেন মামার বাড়ির আবদার। অত্যন্ত অন্যায় আকাঙ্ক্ষা। আক্রমণকারী ইসরাইলের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারবে কিন্তু আক্রান্ত বা আত্মরক্ষাকারী ইরানের হাতে থাকতে পারবে না! সন্ত্রাসীর হাতে এই অস্ত্র থাকলে সমস্যা নেই কিন্তু সন্ত্রাস প্রতিরোধকারীর হাতে থাকলে তা সমস্যা। এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া অসভ্যতা এবং অন্যায়। ইসরাইলের হাতে কমপক্ষে ৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। অন্যদিকে ইরানের হাতে এখন পর্যন্ত কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। ইরান ‘এনপিটি’ বা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। অথচ ইসরাইল তাতে স্বাক্ষর করেনি।

যেখানে ইসরাইলকে ‘এনপিটি’ চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য বাধ্য করার কথা সেখানে উল্টো ইরানকেই বলা হচ্ছে পারমাণবিক চুক্তি করতে হবে। ইরান যেখানে ‘আইএইএ-কে তার পারমাণবিক প্ল্যান্টগুলো পরিদর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে সেখানে ইসরাইলে এই সংস্থার প্রবেশেরই অনুমতি নেই। কাজেই জি-সেভেনের এটি কোন ধরনের মানবাধিকার বা মানবতা! এটি তাদের বর্ণবাদী আচরণ। ইসরাইল ১৯৫০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক তথ্য চুরি করে গোপনে বোমা বানাচ্ছিল। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা সরকারগুলো তা দেখেও চোখ বন্ধ করে রেখেছিল (প্রথম আলো, ১৯ জুন ২০২৫)। আসলে পশ্চিমারাই গোপনে সহযোগিতা করেছিল ইসরাইলকে পারমাণবিক শক্তিধর হতে। যেন মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা শক্তির একটি সম্প্রসারিত হাত রেখে দেয়া যায়।

জি-সেভেন নেতারা মধ্যপ্রচ্যে সহিংসতা প্রশমনের আহ্বান জানান। তাদের এতটুকুন সৎ সাহাস বা নৈতিক মূল্যবোধ নেই যে তারা ইসরাইলকে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানাবেন। ইরান স্পষ্ট বলছে- চলমান সংঘর্ষে তারা শুধু পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। ইসরাইল আক্রমণ না করলে ইরান কোনো ধরনের আক্রমণ চালাবে না। এ বিষয়টি স্পষ্ট থাকার পরও জি-সেভেন নেতারা ইসরাইলকে নিবৃত হতে বলেননি। এটি স্পষ্টতই পশ্চিমাদের ভণ্ডামির নীতি।

সত্যিকারার্থে জি-সেভেনের বিবৃতি একপেশে, বর্ণবাদী, সন্ত্রাসের সমর্থক ও ভয়ানক বিবেকহীনতার উদাহরণ। তাদের এই বিবৃতিতে মূলত পশ্চিমা শাসকদের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে। তবে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ ইসরাইলের অন্যায় আক্রমণকে কোনোভাবেই সমর্থন করেনি। আর পশ্চিমা শাসকরা মেকি মানবতা ও মানবাধিকারের কোরাস গেয়ে যাচ্ছেন।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
[email protected]



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews