শেরপুরের বিচারিক হাকিম শরীফুল ইসলাম খান রোববার এই আদেশ দেন।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একমাস আগে শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওটে তার ভাসুর, জাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ১২ জুন ওই গৃহবধূ নকলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি নাসিমা আক্তারকে (৩৯) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
শেরপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করেন। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এদিকে, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব রোববার বেলা ১১টার দিকে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে দেখতে জেলা সদর হাসপাতালে যান। তিনি তার শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে কথা বলেন।
একই সঙ্গে তিনি ভিকটিম এবং তার পরিবারকে ন্যয়বিচার পেতে সকল প্রকার সহায়তারও আশ্বাস দেন।
এ সময় সিভিল সার্জন রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবিএম এহসানুল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমনসহ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার রাতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, জন উদ্যোগ, হিন্দু সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার বাস্তবায়ন কমিটি শেরপুর জেলা শাখা নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল জেলা হাসপাতালে ভর্তি ভিকটিমকে দেখতে যান এবং তার পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
নকলায় গাছের সঙ্গে বেঁধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে এক মাস আগে নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মে চোখে মুখে মরিচের গুঁড়া ছিঁটিয়ে ওই নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে তার ভাসুর, জা ও অন্যরা। এই দৃশ্য মোবাইলেও ধারণ করে রাখেন তারা। এ ঘটনায় গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন।