শুটিংয়ের মধ্যে কেউ কথা বললে অনেকটাই বিরক্ত হতেন দিলদার। নায়িকা কথা বলে শুটিং থামিয়ে দেওয়ায় কিছুটা বিরক্ত হয়ে দিলদার হাসিমুখেই বলেছিলেন, ‘আরে দূর, আপনি দিছেন আমার মুডটা নষ্ট কইরা।’ এর পরে আর খুব বেশি কথা বলেননি দিলদার। আবারও চলে যান শুটিংয়ে।’
শুটিংয়ের সেই স্মৃতি স্মরণ করে নূতন বলেন, ‘সব সময় দিলদার ভাইকে দেখেছি দর্শকদের হাসাতে। কিন্তু তিনি কেন কাঁদবেন? তো সেদিন সেটাই বলেছিলাম, আপনি সবাইকে হাসান, আপনি আইছেন কাঁদতে? আমি সেই মুহূর্তে ভুলে গিয়েছিলাম দিলদার ভাই সিনেমার নায়ক, পরে তো বুঝতে পারলাম। তিনি তো মজার মানুষ ছিলেন। পরে বললেন, “আপনার অভিনয়ের সময় যখন কাঁদবেন, তখন এমন হাসানি হাসাব, অভিনয় করতে পারবেন না।”’
‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমার সেই শুটিংয়ে সেদিন দিলদারও বলেছিলেন, ‘আপনার কান্নার দৃশ্যে হাসাব।’ পরে একদিন নূতনের একটি দৃশ্য ছিল কান্নার। দৃশ্যে তিনি কান্না করছেন আর খুঁজছেন আব্দুল্লাহকে। সেই দৃশ্যের সময়ে নূতনকে হাসানোর চেষ্টা করতে থাকেন দিলদার। নূতন বলেন, ‘আমি একবার চরিত্রে ঢুকলে আর কোনো কিছুতে মাথা থাকে না। যে কারণে দিলদার ভাই আমাকে হাসানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু আমার তখন হাসি পাচ্ছিল না। পরে দিলদার ভাই বলেছিলেন, আপনি অনেক শক্ত। সেই সময় না হাসলেও শুটিংয়ের বাইরে দিলদার ভাই প্রতি মুহূর্ত হাসাতেন। সেই মানুষটা নাই, ভাবতেই পারি না।’