একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আব্দুন নুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। যখন ঋণ নেওয়া হয়, তখন সুদহার ছিল ৯ শতাংশ, মাসিক কিস্তি ছিল ৩৬ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতা বাড়েনি। কিন্তু বাজারে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। তাতে সব মিলিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে ঋণের কিস্তি বৃদ্ধির ঘটনা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। মনে হচ্ছে ঋণ করে ফ্ল্যাট কেনাটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’
ব্যাংকগুলো সাধারণত সম্পদ ও দায় ব্যবস্থাপনা কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুদহার নির্ধারণ করে থাকে। যেসব ব্যাংক তারল্যসংকটে থাকে, তারা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করে। আবার সামনে সুদহার আরও বাড়তে পারে-এই আশঙ্কায় ভালো ব্যাংকও উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। তবে প্রতিটি ব্যাংক কিছু আমানত উচ্চ সুদে গ্রহণ করে, আবার কিছু আমানতে সুদহার হয় অন্য ব্যাংকের মতোই। ঋণের ক্ষেত্রেও গ্রাহকভেদে সুদ কম-বেশি হয়।