বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, অ্যাপল, গুগল ও নেটফ্লিক্সসহ একাধিক কোম্পানির প্রায় ২০ কোটি ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া তথ্যে রয়েছে ইউজারনেম, ইমেইল, পাসওয়ার্ড এবং কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক তথ্যও। এসব তথ্য একটি উন্মুক্ত ডাটাবেজে প্রকাশিত হয়।
তথ্য ফাঁসের এই ঘটনা সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় ডেটা লিক। তারা দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই তথ্য চুরির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা 'ওয়েবসাইট প্ল্যানেট' জানিয়েছে, ‘ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার’ নামের একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্য চুরি হয়েছে। এটি ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে সঞ্চিত পাসওয়ার্ড, অটোফিল ডেটা, ডকুমেন্ট ও ব্রাউজার কুকিজ চুরি করে।
ফাঁস হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে—
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই তথ্য ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা ভুয়া লিংক পাঠিয়ে ‘ফিশিং আক্রমণ’, অন্য অ্যাকাউন্টে হ্যাকিং ও পরিচয় চুরির মতো কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।
গবেষক জেরেমাইয়া ফাউলার বলেন, “অনেকেই ইমেইল ব্যবহার করেন ব্যক্তিগত ক্লাউড হিসেবে, যেখানে ট্যাক্স ফর্ম, মেডিকেল রেকর্ড, চুক্তিপত্রের মতো সংবেদনশীল তথ্য থাকে। এসব তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে গেলে ব্যাপক বিপদ ডেকে আনতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে না জেনেই বছরের পর বছর সংবেদনশীল তথ্য ইমেইলে রেখে দেন। তাই পুরনো ইমেইল ডিলিট করে এনক্রিপটেড ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছি।”
তবে ইতোমধ্যেই ডাটাবেজটি অনলাইনে আর দৃশ্যমান নয়। ডেটা হোস্টিং কোম্পানিকে সতর্ক করার পর এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
নিরাপদ থাকতে যা করবেন
তথ্যসূত্র: মেট্রো ইউকে