পাকিস্তানকে সুদবিহীন ঋণ এবং সহজে অর্থ সহায়তা দিতে অপারগতার কথা জানিয়েছে সৌদি আরব।দেশটির এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।





পাকিস্তানে যখন অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চলছে, তখন বন্ধুরাষ্ট্রগুলোও তাদের সহায়তার হাত বাড়াচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

সৌদি আরব এবং আইএমএফ উভয়ই পাকিস্তানের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবি করছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।

সুদ-বিহীন ঋণ এবং সহজে আর্থিক সহায়তা দিতে সৌদির অপারগতা প্রকাশের বিষয়টি পাকিস্তান সরকারের জন্য বড় একটি ধাক্কা। কারণ অর্থনৈতিক সংকটে সরকারের পদক্ষেপে সাধারণ পাকিস্তানিদের মধ্যে থাকা অসন্তোষ ধীরে ধীরে ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে সুদের হার ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯ শতাংশ করেছে পাকিস্তান।দেশটির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুদের হার। এর আগে ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পাকিস্তান ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল পেতে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়েছে, যা ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বেলআউট প্যাকেজের অংশ।

আগামী সাড়ে তিন বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধে খেলাপি হওয়া এড়াতে পাকিস্তানের টেকসই মার্কিন ডলার প্রবাহের তীব্র প্রয়োজন। দেশটি বর্তমানে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বসে আছে।

সৌদি আরবের কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিসের সহকারী ফেলো উমর করিম বলেন, পাকিস্তান সরকার সৌদির সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছে। আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রীর ফোনেই গালফ দেশগুলো আর্থিক সহায়তা দিত। কিন্তু এবার পাকিস্তানকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পাক সেনাপ্রধান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ ও আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে সৌদি আরব তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews