৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলার নেতা টারিও সেই সম্মেলন থেকে একটি দল নিয়ে ক্যাপিটল হিলে যান এবং তাঁরা কংগ্রেস ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে স্লোগান দেন, ‘এটা কাদের হাউস! এটা আমাদের হাউস!’ এই স্লোগানের মাধ্যমে তাঁরা বোঝাতে চান, ‘আমরাই এখন ক্ষমতায়, কংগ্রেস এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।’ এরপর তাঁদের বাধা দিতে আসা এক প্রতিবাদকারীকে টারিও আঘাত করেন এবং গ্রেপ্তার হন। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ‘প্রিন্সিপালস ফার্স্ট’ সম্মেলনস্থলে যান এবং সেখানে ওয়াশিংটনের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মাইকেল ফ্যানোনকে (যিনি জানুয়ারি ৬ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন) গালিগালাজ করে অপমান করেন।
রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে গবেষণা করা একজন নৃবিজ্ঞানী হিসেবে আমার দৃষ্টিতে এসব ঘটনা আমেরিকার জন্য গুরুতর বিপদের ইঙ্গিত।
২০২১ সালে প্রকাশিত আমার ‘ইট ক্যান হ্যাপেন হেয়ার’ বইয়ে আমি বলেছিলাম, খারাপ মানুষেরা এখন আরও সাহসী হয়ে উঠছে; ফলে রাজনৈতিক সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ছে।
এই হুমকির বাস্তব রূপ পাওয়া যায় গত ১৪ জুনের ঘটনায়। ওই দিন ভ্যান্স বোল্টার নামের ট্রাম্পের একজন সমর্থক মিনেসোটার ডেমোক্রেটিক পার্টির দুজন নেতা ও তাঁদের সঙ্গীদের গুলি করে হত্যা করেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন স্টেট হাউস স্পিকার এমেরিটা মেলিসা হর্টম্যান ও তাঁর স্বামী। বোল্টারের গাড়িতে পরে একটি হিট লিস্ট পাওয়া যায়। সেখানে ডেমোক্রেটিক পার্টির ৪৫ জন নেতার নাম ছিল।