গত বছর ১৪ এপ্রিল দেশবাসী যখন বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত, ঠিক সেদিন একটা খবর বাংলাদেশের ফুটবল ছাপিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনকে কাঁপিয়ে তোলে। খবরটি আসে ফিফা থেকে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈমকে দুই বছর নিষিদ্ধ করার কথা জানায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। বাফুফের কেনাকাটা ও আরও কিছু বিষয়ে ওই অনিয়ম হয়েছে বলে ৫২ পাতার বিশাল এক বিবরণ দেয় ফিফা। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে পরে ফিফা বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানাও করে।
শুধু বাফুফে নয়, গোটা ক্রীড়াঙ্গনই পরিণত হয়েছে দুর্নীতির আখড়ায়। দেশের সবচেয়ে ধনী ফেডারেশন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অ্যাথলেটিকস, শুটিং, উশুসহ বিভিন্ন ফেডারেশনে একাধিকবার। অ্যাথলেটিকসে গত বছর সাত কোটি টাকা সারা দেশের প্রতিভা অন্বেষণের নামে লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি সরকার বদলের পর শুটিং ও উশু ফেডারেশনের সাবেক খেলোয়াড়–কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উশুর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শিফু দিলদার হাসানের অভিযোগ, বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা বাবদ ২১ লাখ টাকা খরচ দেখিয়েছে বর্তমান নেতৃত্ব, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। উশুর আন্তর্জাতিক কোচ ও সিলেট উশুর সংগঠক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন। আন্তর্জাতিক কোচেস ও রেফারিজ প্রশিক্ষণে ম্যাকাও সফরের খরচ বাবদ তাঁর পাওনা ৩০০ ডলার সাধারণ সম্পাদক তাঁকে দেননি।