বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য দিবস প্রতি বছর ২৮শে এপ্রিল পালিত হয়। এই দিনটি শ্রমিকদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে এবং কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে।

এই বছরের থিম, "পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব," (The impacts of climate change on occupational safety and health) বিশ্ব জুড়ে শ্রমিকদের সম্মুখীন উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলির একটি স্পষ্ট অনুস্মারক। জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর দূরের হুমকি নয়; এর প্রভাব ইতিমধ্যেই অনুভূত হচ্ছে, বাস্তুতন্ত্র, কর্মক্ষেত্র এবং জীবিকা ব্যাহত করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমশ তীব্র হতে থাকায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা, খরা, এবং ঝড়ের মতো জলবায়ু-সম্পর্কিত ঘটনা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সম্প্রতি "Ensuring Safety and Health at Work in a Changing Climate"(পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ) শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শ্রমিকরা যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয় তার উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনের ফলাফলগুলি একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী ৭০% এরও বেশি শ্রমশক্তি স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। এই বিশাল ঝুঁকি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখে কর্মীদের মঙ্গল রক্ষার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যগত প্রভাবগুলি একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে। এই প্রভাবগুলি ব্যাপক এবং দীর্ঘস্থায়ী, ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয় স্তরেই উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত গুরুতর অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি, কিডনি কর্মহীনতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা। শিশু ও বৃদ্ধরা জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল। তাদের শরীর আরও দুর্বল এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কম।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তীব্র তাপ, বায়ু দূষণ, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বাড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিকদের তাপ-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি ক্রমবর্ধমান। হিট স্ট্রেস, হিট স্ট্রোক এবং অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমাতে পারে, তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

আইএলও’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী ২.৪ বিলিয়নেরও বেশি কর্মী তাদের কাজের সময় অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। এই বর্ধিত ঝুঁকি কৃষি, নির্মাণ, এবং বহিরাঙ্গন শ্রম-নিবিড় শিল্পের মতো খাতগুলিকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে, যেখানে শ্রমিকরা চরম তাপমাত্রায় দীর্ঘায়িত সময় ধরে কাজের সাথে জড়িত হন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে এই ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, আরও বেশি মানুষ ক্ষতিকর স্তরের তাপের সংস্পর্শে আসবে, যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং উৎপাদনশীলতার ক্ষতি বৃদ্ধি পাবে।

তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাব শুধুমাত্র সরাসরি ঝুঁকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে তাপের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শ্রমিকদের জন্য "বিপত্তির ককটেল" তৈরি করছে। এই বিপজ্জনক পরিবেশ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ধাবিত করছে, যার মধ্যে রয়েছে:

১) আল্ট্রাভায়োলেট (UV) বিকিরণের সংস্পর্শ বৃদ্ধি: আনুমানিক ১.৬ বিলিয়ন কর্মী তাদের কাজের কারণে UV বিকিরণের সংস্পর্শে আসে। অতিরিক্ত UV বিকিরণ ননমেলানোমা স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, যা প্রতি বছর কর্ম-সম্পর্কিত ১৮,৯৬০ টিরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী।

২) পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া: তীব্র তাপমাত্রায় শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যায়, যার ফলে পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকি বেশি।

৩) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: তাপের সাথে ধুলো, ধোঁয়া, এবং রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, এবং এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।

৪) কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা: তীব্র তাপ হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, এবং ডিহাইড্রেশনের মাধ্যমে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

৫) মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: তীব্র তাপ মানসিক চাপ, বিরক্তি, মনোযোগ হ্রাস, এবং ঘুমের সমস্যার কারণ হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের মধ্যে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, এবং এমনকি আত্মহত্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত সমস্যা নয়, এটি একটি গুরুতর পেশাগত ঝুঁকিও। শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কর্মক্ষেত্রে তাপের চাপ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত বিরতি, প্রচুর পরিমাণে পানি পান, ঠান্ডা করার ব্যবস্থা, এবং UV বিকিরণ থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা প্রদানের মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

কর্মক্ষেত্রে বায়ু দূষণ এবং কীটনাশকের ব্যবহার একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, কর্মক্ষেত্রে বায়ু দূষণ প্রতি বছর ১.৬ বিলিয়ন কর্মীকে প্রভাবিত করে এবং বহিরঙ্গন কর্মীদের মধ্যে ৮৬০,০০০ জনের মৃত্যুর কারণ হয়। অধিকন্তু, বিশ্বব্যাপী ৮৭০ মিলিয়নেরও বেশি কৃষি শ্রমিক কীটনাশকের সংস্পর্শে আসে, যার ফলে বার্ষিক ৩০০,০০০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, যার মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত। উষ্ণায়নের ফলে তীব্র আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শ্রমিকদের তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, এবং ঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এর ফলে অসুস্থতা, আঘাত, এবং এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তন পরজীবী এবং ভেক্টর-বাহিত রোগের বিস্তারও ত্বরান্বিত করছে, যা বিশেষ করে কৃষি এবং নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, এবং লাইম রোগের মতো রোগগুলি উষ্ণ আবহাওয়ায় বৃদ্ধি পায় এবং নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এই ঝুঁকিগুলি মোকাবিলায়, সমন্বিত এবং বহুমুখী প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। নীতি নির্ধারকদের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নতুন আইন এবং বিধিমালা তৈরি করতে হবে। নিয়োগকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এবং শ্রমিকদের তাদের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিজেদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে, তবে শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, এবং চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি কৃষি, নির্মাণ, এবং উত্পাদন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য বেশ কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির বিরূপ প্রভাব অনুভব করছে, যার মধ্যে রয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। এই পরিবর্তনগুলি দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের উপর।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) টিম লিড মানাল আজি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় ওএসএইচ বিবেচনাকে একীভূত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। এর অর্থ হল জলবায়ু-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য নতুন আইন, প্রবিধান এবং কর্মক্ষেত্রের নির্দেশিকা তৈরি বা সংশোধন করা।

এছাড়াও, জলবায়ু প্রশমনের কৌশল, যেমন শক্তি দক্ষতার ব্যবস্থা এবং টেকসই অনুশীলন বাস্তবায়ন, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই দুর্যোগগুলি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে কর্মীদের যারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে বাইরে বেশি সময় কাটায়। কর্মীদের জলবায়ু-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে জোরালো নীতি, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা অপরিহার্য।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন একটি মর্মান্তিক সত্য উন্মোচন করেছে: জলবায়ু পরিবর্তন শুধুমাত্র পরিবেশকেই নয়, বরং বিশ্বব্যাপী কর্মীদের স্বাস্থ্যকেও বিরূপভাবে প্রভাবিত করছে। প্রতিবেদনটিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা এবং অন্যান্য জলবায়ু-সম্পর্কিত দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান ঘটনা কর্মীদের স্বাস্থ্যের উপর বিরাট ঝুঁকি তৈরি করছে।

এই প্রতিবেদনটি বিশ্ব নেতাদের এবং নীতি নির্ধারকদের কাছে একটি জরুরি বার্তা বহন করে। কর্মীদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দ্রুত বিস্তারিত হওয়ার সাথে সাথে, শ্রমিকদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আরও সক্রিয় পদক্ষেপ, জ্ঞান-ভিত্তিক নীতি এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং বৈশ্বিক কর্মশক্তির কল্যাণের মধ্যে অন্তর্নিহিত সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়ে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতি এবং অধিকারগুলির প্রচার করে যা এই লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড ডে ফর সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক (বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস) আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

ঐতিহ্যগত কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি মোকাবিলা করার পাশাপাশি, আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সরকার, নিয়োগকর্তা, কর্মী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা - সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আরও স্থিতিস্থাপক কর্মক্ষেত্রের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারি।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

এইচআর/এমএস



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews