বুধবার থেকে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে সফরকারী বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ বছরের ইতিহাস মুছে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ টাইগাররা।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের মূল দল। এরপর নয় ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে টাইগাররা। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ ছিল ঘরের মাঠ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাকি ছয় ম্যাচ বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন ভেন্যুতে খেলেছে টাইগাররা।
রেকর্ড বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। কিন্তু সেটি ছিল এশিয়ান গেমসের মঞ্চ। ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল দুই দল। ওই ম্যাচকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু মূল দল বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্তে বন্দি রয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই হেরে যায় টাইগাররা। এরপর ছয় ম্যাচের সবগুলোতেই হারে টাইগাররা। অবশেষে অষ্টম ম্যাচে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে মিরপুরে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।
এরপর পরের দেখাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের মার্চে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারের স্বাদ দেয় টাইগাররা। ওই জয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে আর কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ মূল দল। টানা নয় ম্যাচে হেরেছে তারা। ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভাঙে দ্বিতীয় সারির বাংলাদেশ।
এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ মূল দলের। তবে কাজটি সহজ হবে না টাইগারদের জন্য। কারণ, সদ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে লিটন কুমার দাসের দল।