পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য, যার সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত। সম্প্রতি সেখানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিধানসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্যই নয়, ভারতের জাতীয় রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এ নির্বাচনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে তাদের একটি শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। বস্তুত এ চেষ্টা তারা অনেক আগে থেকেই করে যাচ্ছিল।

এ ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার পালাবদল ঘটাতে চেয়েছিল বিজেপি। তাদের সেই চেষ্টার প্রতি জনগণের এক ধরনের আস্থাও ছিল। কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে যায় নির্বাচনের ফল ঘোষিত হলে। বলতে গেলে এখানে বিজেপি বড় ধরনের পরাজয়বরণ করেছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতা ব্যানার্জি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলেন। মমতার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিয়ে এত বেশি বিতর্ক ছিল যে, সেদিক থেকে এ নির্বাচনের ফলাফল অভূতপূর্ব।

এ নির্বাচনের বেশ কিছু বিষয় উল্লেখযোগ্য। একটি হচ্ছে, বিজেপি ভারতের রাজনীতিতে জাতীয় পর্যায়ে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছে। সেই শক্ত ঘাঁটি তারা কতটা বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে যেতে পেরেছে এবং বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির যে রাজনৈতিক উত্থান সে উত্থানকে তারা কতটা ব্যবহার করতে পেরেছে সেটি দেখার বিষয়। দ্বিতীয়ত, ২০২৪ সালে ভারতে লোকসভার তথা কেন্দ্রীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনের মাধ্যমে বিজেপিপ্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসবেন কিনা এ বিষয়টি নির্ভর করছে রাজ্যপর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্সের ওপর।

তৃতীয়ত, গত কয়েক বছর ধরে আমরা লক্ষ করছি, বিজেপি আসামে আগে সরকার গঠন করেছে, এবারেও সে রাজ্যে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে ত্রিপুরার মতো একটি শক্তিশালী রাজ্য, যেখানে বামদের ঘাঁটি ছিল, সেখানেও বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতীয় অঞ্চলের অনেক রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতা নিতে পেরেছে। ফলে এ পুরো অঞ্চলটিতে এক ধরনের ‘গেরুয়া বিপ্লব’ সাধিত হয়েছে। অর্থাৎ বিজেপির একটি নিরঙ্কুশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯ সালের পশ্চিমবঙ্গে যে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিজেপি ১৮টি আসনে জয়লাভ করে, যার মাধ্যমে সেখানে বিজেপির একটি উত্থান আমরা লক্ষ করেছিলাম।

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অতীতে মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় আরও দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১১ ও ২০১৬ সালে তারা যে আসন পেয়েছিলেন, এবারের নির্বাচনে পেয়েছেন তার চেয়ে বেশি আসন। সুতরাং অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, আসনের দিক থেকে যেমন অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, তেমনি মোট ভোটপ্রাপ্তির দিক থেকেও তৃণমূল ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কাছ থেকে। তৃণমূল ৪৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে, যা এক অর্থে অসাধারণ।

উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ ব্যাপকভাবে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেছে। অতীতের ভোটের যে হিসাব তা থেকে ৪-৫ শতাংশ বেশি মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছে। এটা খুবই ইতিবাচক একটা দিক।

নির্বাচনে বিজেপি যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিল, তা থেকে একটি ভালো ফলাফল তারা নিশ্চয়ই আশা করেছিল। অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জির যে প্রচার, সেক্ষেত্রেও জনগণের একটি সমর্থন ছিল। এ নির্বাচনের প্রচার কৌশলের জায়গাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বারবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন।

গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, অন্তত ১৮ বার তিনি এ নির্বাচন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছেন, যা হয়তো ভারতের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি রেকর্ড। কেননা অতীতে ভারতের কোনো ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বিধানসভার নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে এতবার সফর করেননি। শেষদিকে করোনার কারণে তিনি আরও কয়েকটি সফর বাতিল করেন। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ব্যাপক তৎপরতা ছিল।

এর ফলে আমরা লক্ষ করেছি, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন অতীতের চেয়ে অনেক বেশি সহিংস ছিল। ৮ দফা নির্বাচন হওয়ায় এ নির্বাচনের একটি লম্বা ক্যাম্পেইন ছিল। সেখানে অনেক অস্থিরতা ছিল, অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে। নন্দীগ্রামে মমতার প্রচারাভিযানের সময়ে তিনি আহতও হয়েছিলেন। আহত হওয়ার পর দেখা গেল, হুইল চেয়ারে বসে পুরো নির্বাচনের প্রচারণার কাজ তিনি চালিয়ে গেছেন।

অদম্য সাহস আর মানসিক শক্তি নিয়ে নির্বাচনকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে হুইল চেয়ারে বসে একজন মুখ্যমন্ত্রীর প্রায় দু’মাস বা এরও বেশি সময়ব্যাপী প্রচারাভিযান চালিয়ে দলের সবাইকে উজ্জীবিত রাখা এবং জনগণের কাছে পৌঁছা, এটি আসলেই অবাক করার মতো বিষয়। তার এ অদম্য সাহস আর উজ্জীবিত মানসিকতার ফলে বিজেপি তৃণমূলকে উৎখাত করার যে স্বপ্ন দেখেছিল, তা ভেস্তে গেছে।

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি কতগুলো বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছিল। সেগুলো হলো- সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ব্যবহার ও নাগরিকত্বের বিষয়। এ বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে একটা অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ এ অঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে এনআরসি বা নাগরিকত্ব সংশোধনের নামে যে বিতর্ক চলছে সেক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে এ বিষয়গুলোর বিরোধিতা করেছেন তিনি।

সাম্প্রদায়িকতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির বিষয়টিকে তিনি তুলে ধরেছেন। ফলে এখানে যে লড়াইটা ছিল সেটি শুধু বিজেপি বনাম তৃণমূল ছিল না, একটা আদর্শিক লড়াইও ছিল। সে লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে তাদের রায় দিয়েছেন। এটি একদিকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে রায়, অন্যদিকে এনআরসি বা নাগরিকত্ব সংশোধনের নামে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে রায়।

এ নির্বাচনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভবিষ্যতে সেখানকার জনগণ মমতা ব্যানার্জিকে জাতীয় পর্যায়ে দেখতে চায়। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলে থাকেন, বাঙালির একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে, এর ওপর কোনো ধরনের আঘাত বাঙালি মেনে নেবে না। কারণ বিজেপির উত্থান বা বিজেপির যে রাজনীতি সে রাজনীতির ভেতরে এক ধরনের চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে।

বিজেপির নির্বাচনি প্রচারণায় আমরা লক্ষ করেছি, তাদের যে এজেন্ডা অথবা মেনিফেস্টো ছিল, সেখানে বাঙালির বাঙালিত্ব ছিল অনুপস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কাছে মমতা ব্যানার্জি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন যে, বিজেপির এজেন্ডা হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে। সেদিক থেকে জনগণের রায়ে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বাঙালির বাঙালিত্ব যে ফরমেই থাকুক না কেন, সেটিকে তারা ধরে রাখতে চায়। সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য তো বটেই, ভারতের জাতীয় রাজনীতির জন্যও এ নির্বাচন এবং এর ফলাফল ব্যাপক তাৎপর্য বহন করে।

আরেকটি বিষয়ে সবার নজর কেড়েছে। সেটি হলো নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জির পরাজয়ের বিষয়টি। যদিও অত্যন্ত অল্প ব্যবধানে এ পরাজয় ঘটেছে, মাত্র ১৯২৭ ভোটের ব্যবধানে মমতা পরাজিত হয়েছেন, তারপরও বিষয়টিকে গণমাধ্যমে খুব বড় করে দেখা হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এ পরাজয়ের বিষয়টি ঘটতেই পারে। কারণ নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জি আগে কখনোই নির্বাচন করেননি। ফলে সেখানে তার যোগাযোগও খুব একটি ছিল না।

এর পাশাপাশি নন্দীগ্রামে যিনি বিজয়ী হয়েছেন সেই শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন মমতার দলেরই অনুসারী। শুভেন্দু একসময় মন্ত্রীও ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালেও বিজয়ী হয়েছিলেন। তাছাড়া নন্দীগ্রামে বামদের একটি ভালো ভোট আছে। ফলে সেখানে একটি ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জি পরাজিত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা না থাকলেও সাংবিধানিকভাবে তাকে অন্য একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে ৬ মাসের মধ্যে তার মুখ্যমন্ত্রিত্বকে স্থায়ী করতে হবে। কাজেই তার ওপর একটা চাপ থাকছেই।

সার্বিকভাবে ফলাফল ব্যাপকভাবে মমতা ব্যানার্জির পক্ষেই গেছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। মমতা ব্যানার্জি তার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এ জয় শুধু বাংলাকে রক্ষা করার জয় নয়, এটি ভারতকে রক্ষা করার জয়।’ তার মানে তৃণমূলের এ জয়ের যে প্রভাব সেটিকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও তিনি নিয়ে যাবেন এবং সে রকম একটি বাস্তব পরিস্থিতি আমরা সেখানে দেখতে পাচ্ছি।

কারণ বিভিন্ন দল মমতা ব্যানার্জিকে যেভাবে অভিনন্দন জানিয়েছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলো, যেমন তামিলনাড়ুতে যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা, তাতে বিজেপিবিরোধী একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। অখিলেশ, কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিভিন্ন নেতা মমতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে তার এক ধরনের সম্পর্কও আছে। ভবিষ্যতে একটা নতুন মোর্চা হতেও পারে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে নিঃসন্দেহে। বিরোধী দল হিসাবে বিজেপির আত্মপ্রকাশে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ধারায় একটি পরিবর্তন ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে এবং সেটি কতটা স্থায়ী হয় তা দেখার বিষয়। প্রতিবেশী রাজ্য হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যাপক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও আমরা জানি, ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ওপর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের খুব একটি প্রভাব পড়ে না। কিন্তু রাজ্য পর্যায়ের বিষয়টি একটু আলাদা। কারণ বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে সম্পর্ক, দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক-সামাজিক সম্পর্ক এবং বিশাল সীমান্ত- এগুলো অনেকটাই ব্যাপার বটে। যদিও নির্বাচনটি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির বিষয়।

এ নির্বাচনে আমরা লক্ষ করলাম, এবার বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে একটি রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছিল; এ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও নিশ্চিত হলো পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট একসময় দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজ্য শাসন করেছে।

বর্তমানে তাদের যে ব্যর্থতা, সেটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। বামফ্রন্ট মাত্র ৪ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছে, আর কংগ্রেস পেয়েছে ২-৩ শতাংশের মতো। এটি রাজনৈতিকভাবে একটি শিক্ষণীয় বিষয়। তাদেরও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখা উচিত। তাহলেই সেখানে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনীতির বিকাশ ঘটবে এবং তা আরও স্থায়ী ও শক্তিশালী হবে।

ড. দেলোয়ার হোসেন : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews