‘ভুল সবই ভুল,/এ জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা, সে ভুল/ এই শ্রাবণে মোর ফাগুন যদি দেয় দেখা, সে ভুল...।’ ১৯৬২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ‘অতল জলের আহ্বান’-এর কালজয়ী এ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুজাতা চক্রবর্তী। সেই কবে বালকবেলায় প্রথম শুনেছিলাম এ গানটি! ছয় দশক পরেও যখন গানটি শুনি, তন্ময় হয়ে যাই। গানটির ছত্রে ছত্রে জীবনের রূঢ় বাস্তবতার দেখা মেলে।  ভুল করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির অংশ। ‘মানুষ মাত্রই ভুল হয়’ কথাটির প্রচলন বোধকরি সে কারণেই। মানুষের মতো রাজনৈতিক দলও ভুল করতে পারে। রাজনৈতিক দলের ভুলগুলো আসে নেতৃত্ব থেকে। নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা কিংবা অপরিণামদর্শিতা একটি রাজনৈতিক দলকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি করতে পারে। কখনো কখনো তা দলটির অস্তিত্বকেই করতে পারে বিপন্ন। দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির বিগত কয়েক বছরের সিদ্ধান্ত, কর্মসূচি ও কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে আমরা অসংখ্য ভুলের সমাহার দেখতে পাব। তন্মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন দলটির সর্বশেষ ভুল বলে মনে করেন অনেকে। যদিও দলটির শীর্ষনেতারা তা স্বীকার করতে নারাজ। হঠকারী আন্দোলনের অসফলতা এবং তারই অংশ হিসেবে নির্বাচন বর্জনের মতো অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত দলটিকে উপনীত করেছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। দলটি এখন সংকটের সমুদ্রে নিমজ্জমান তরী। ধারণা করা হয়েছিল, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বায়বীয় আন্দোলনের চিন্তা বাদ দিয়ে তারা দলের সাংগঠনিক ভিতকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেবে। শোনাও গিয়েছিল সেরকম। তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে পুনর্গঠনের একটি প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে- এমন খবর পত্রপত্রিকায়ও এসেছে। কিন্তু এখন আর তা শোনা যাচ্ছে না। বরং আবারও তারা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা বলতে শুরু করেছে। সে সঙ্গে ভারতবিরোধী প্রচারণাকে সমর্থন জানিয়ে তারা রাজনীতি সচেতন মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। কেননা, সরকারের পাশাপাশি নিকট প্রতিবেশী দেশটিকে প্রতিপক্ষ বানালে সামনের পথ যে আরও কঠিন হয়ে পড়বে এটা সবাই বুঝলেও বিএনপির হাইকমান্ড বুঝতে পারছে বলে মনে হয় না।

সামাজিক মাধ্যমে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ প্রচারণায় জোরেশোরেই অংশ নিচ্ছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় এজেন্ডা না হওয়া সত্ত্বেও তারা কেন এ প্রচারণায় সম্পৃক্ত হলো, তা বোধগম্য নয়। শোনা যায়, দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে থিতু হওয়া এক ডাক্তার ‘ভট্টাচার্য মশাই’ এই স্লোগানের উদগাতা। এক সময়ের রুশপন্থি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই ব্যক্তির সেই স্লোগানকেই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে লুফে নিয়েছে বিএনপি সমর্থকরা। আর তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলীয় অফিসের সামনে নিজের কাঁধে থাকা ভারতীয় চাদরটি মাটিতে ফেলে পদপিষ্ট করে সংহতি প্রকাশ করেছেন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, এটা ওই প্রচারণার প্রতি বিএনপির সংহতি প্রকাশ। তবে পরদিনই ‘থুক্কু’ দিয়ে বলেছেন, ওটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য।

বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল বলেই দেশবাসী মনে করে। ১৯৭৮ সালে গঠিত হওয়ার পর চার মেয়াদে দলটি প্রায় চৌদ্দ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। একটি রাজনৈতিক দলকে কথা বলতে হয় অধিকতর দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘকালের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশও ভারত। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই সম্পর্কের শুরু। এই সম্পর্ক কখনো উষ্ণ, কখনো শীতল হয়েছে। বিএনপি যখন সরকারের ছিল, তখনো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। মনে পড়ে, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন নীলম সঞ্জীব রেড্ডি এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোরারজি দেশাই। অভূতপূর্ব সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টকে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এবং বিরোধীদলীয় নেতা থাকা অবস্থায় একাধিকবার ভারত সফর করেছেন। প্রতিবারই ভারত সরকার তাঁকে যথাযথ সম্মান দেখিয়েছে। এটাও ঠিক আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারতের পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি এখন আর লুকোছাপার বিষয় নেই। ২০১৪ ও এবারের নির্বাচনে ভারতের সে ভূমিকা ছিল অনেকটাই প্রকাশ্য। এর নানা কারণ থাকতে পারে। হয়তো বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারতের আস্থা বেশি। সে কারণেই তারা চায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকুক। তাই বলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের মতো একটি অকূটনৈতিকসুলভ প্রচারণা চালিয়ে দেশটির সে মনোভাব কি পরিবর্তন করানো যাবে? তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে নিজেদের ভারতের আস্থায় নিতে বিএনপির কষ্টকর প্রচেষ্টার কথাও গোপন থাকেনি। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছে অন্য ক্ষেত্রেও। এক সময় চীনের সঙ্গে বিএনপির আলাদা একটি সম্পর্ক ছিল; যার শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময়ে। সেই চীনও এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে চলে গেছে। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার জন্য যে ব্যক্তিটি দায়ী, তিনি এখন বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের প্রধান। বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে নিজের ব্যবসার স্বার্থে চীনের বৈরী দেশ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক করায় চীন রুষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। গত কয়েক বছরে বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থতার ন্যায় আন্তর্জাতিক মিত্র তৈরিতেও ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু পুরনো মিত্রদের দূরে ঠেলে দিয়েছে।

বিএনপিকে ভারতবিরোধী রাজনৈতিক দল বলে কেউ কেউ অভিহিত করে থাকেন। কথাটি সর্বাংশে সঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে বিএনপি সব সময় বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে দেশের পক্ষে অনমনীয় অবস্থান নেওয়া বা কোনো বন্ধু দেশের বৈরী আচরণের প্রতিবাদ করা সে দেশের বিরোধিতা বলে গণ্য হতে পারে না। ১৯৭৮ সালের কথা। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর ১১ সেপ্টেম্বর আমাদের এলাকায় (বিক্রমপুরের শ্রীনগর) সফরে আসেন তৎকালীন সিনিয়রমন্ত্রী মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া। রাতে স্থানীয় ডাকবাংলোয় খাওয়া-দাওয়ার পর বাইরে এলেন যাদু ভাই। ছাত্রকর্মী হিসেবে তাঁর সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা ছিল। সিগারেট হাতে যাদু ভাই সামনের কাঁচা সড়ক ধরে হাঁটছেন, পাশে আমি। একপর্যায়ে বললাম, ভাই, এতদিনের দল ন্যাপ বিলুপ্ত করে বিএনপিতে একীভূত হওয়া কতটুকু সঠিক সিদ্ধান্ত? আমার কাঁধে হাত রেখে তিনি বললেন, ‘শোন, ভারতীয় সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও ভৌগোলিক অখন্ডত্বকে রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের বিপরীতে দরকার একটি শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী প্ল্যাটফরম এবং একজন দৃঢ়চেতা জাতীয়তাবাদী নেতা। বিএনপি সেই প্ল্যাটফরম এবং জিয়া সেই নেতা। আজ থেকে দশ বছর পর তোরা এই সত্যটি বুঝতে পারবি। সেদিন হয়তো তোদের যাদু ভাই নাও থাকতে পারে।’ যাদু ভাইর কথাগুলো নিয়ে পরবর্তীকালে আমি অনেক ভেবেছি। তাঁর কথার যথার্থতা উপলব্ধির পাশাপাশি আমার এটাও মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগের বিপরীতে জনসমর্থন আদায়ের জন্য ভারতের কর্মকান্ডের সমালোচনা বিএনপির একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ, আওয়ামী লীগ এদেশে ভারতপন্থি দল হিসেবে পরিচিত। জনগণের একটি বড় অংশের মধ্যেও ভারতবিরোধী মনোভাব ব্যাপক। এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার! আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, তাতে জনসাধারণের ওই দেশটির প্রতি প্রশ্নহীন কৃতজ্ঞ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবতা উল্টো। এর কারণ হিসেবে নানাজন নানা কথা বললেও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ওপর ভারতের এক ধরনের ‘দাদাগিরি’ অন্যতম। ভারতের সে খবরদারি মনোভাব এদেশের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তদুপরি সে সময়ে চাল, পাট, চামড়াসহ মূল্যবান সম্পদের ভারতে পাচার, পরবর্তীকালে গঙ্গার পানির একচেটিয়া প্রত্যাহার, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ভারত সম্পর্কে এদেশের মানুষের বিরূপ মনোভাবকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করেছে। আর এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিএনপি ওই সমস্ত মানুষের সমর্থন পেয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি একজন প্রাক্তন কূটনীতিকের সঙ্গে। তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন ছিল, প্রেসিডেন্ট জিয়া ভারতবিরোধী ছিলেন কি না। তিনি বললেন, ‘কোনো বিশেষ দেশের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ জিয়ার নীতিতে ছিল না। তিনি দেশের স্বার্থের প্রশ্নে অনমনীয় ছিলেন। তবে কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিনষ্ট হয় এমন কোনো কথা বলেননি। বরং সবাই যাতে এক ছাতার নিচে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি সার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল, ওই সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, কেউ কারও ওপর খবরদারি করবে না।’ বস্তুত ‘সীমান্তের বাইরে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই’- জিয়াউর রহমানের এ উক্তি থেকেই তাঁর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু এখন তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল সে নীতি থেকে অনেক দূরে। তারা বন্ধু বৃদ্ধির পরিবর্তে নতুন করে শত্রু বৃদ্ধির পথে হাঁটছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভারতের প্রকাশ্য অবস্থানে তারা ক্ষুব্ধ। ভারতের এ অবস্থানকে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং গণতন্ত্র হত্যায় আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা বলে মনে করে। তাই এখন তারাও ভারতবিরোধী অবস্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে একই ইস্যুতে চীন-রাশিয়াও তো আওয়ামী লীগের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিল। বিএনপি কি এখন ওই দুটি দেশের ব্যাপারেও একই অবস্থান নেবে? এরপর কি তারা চীনা ও রাশিয়ান পণ্য বর্জনেরও ডাক দেবে? এদিকে গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনে’ সরাসরি যুক্ত হতে চাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সীমান্তে হত্যাসহ নানা ইস্যুতে ভারতবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। কিন্তু ভারতীয় চাদর পদদলিত করে প্রকাশ্যে সংহতি প্রকাশ করে রিজভী যে অর্বাচীনতার পরিচয় দিয়েছে, তার কী হবে? দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অমন একটি অকূটনৈতিকসূলভ এবং প্রতিবেশী দেশের জন্য অবমাননাকর আচরণ করায় দল কি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে? যদি না নেয়, তাহলে সেটা কি ‘মৌনতা সম্মতির লক্ষণ’ হবে না?  নিকট প্রতিবেশী একটি দেশের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া বা সে ডাকের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে একই মনোভাব জানতে পেরেছি। তাদের কেউ ভারতীয় শাড়ি-কসমেটিকস আমদানি করেন, কেউ আনেন ইলেকট্রিক পণ্য। তারা মনে করেন, এ ধরনের প্রচারণায় অংশ নেওয়া অর্থই হলো দলকে নতুন আরেকটি ভুলের গোলকধাঁধায় নিক্ষেপ করা, যার ফল মারাত্মক বিষময় হতে পারে।  ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার শক্তি-সামর্থ্য বিএনপির আছে কি না প্রশ্ন তুলে তারা বললেন, অসম যুদ্ধে লিপ্ত হলে বেঘোরে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকে। ভারতের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রচারণায় সংশ্লিষ্ট হলে বিএনপি আরেকটি মারাত্মক ভুল করবে।





লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews