‘বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তুলুন’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক জনসভা, দুদক অভিমুখে বিক্ষোভ-ঘেরাওসহ মার্চ-এপ্রিল দুই মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল মঙ্গলবার জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বর্তমান পরিস্থিতি ও জোটের করণীয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউসিবিএল’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, কাফী রতন, রুহীন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিবিএল নেতা আজিজুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা আলমগীর হোসেন দুলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বহ্নি শিখা জামালী, আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তাছলিমা আক্তার, জুলহাস নাইন বাবু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সভার-আশুলিয়াসহ গার্মেন্টস শিল্পাঞ্চলে হাজার হাজার শ্রমিকের নামে মামলা দায়ের ও ১১ হাজার শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, দুর্নীতির রাঘব বোয়াল, ব্যাংক ডাকাত ও অর্থপাচারকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আগামী ৫ মার্চ দুদক কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল এবং মার্চ-এপ্রিল মাস জুড়ে সারা দেশে বিভাগীয় শহর ও জেলায় জেলায় জনসভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বলা হয়, বর্তমানে দেশে চলছে একদলীয় ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন। গত ৩০ ডিসেম্বর নজীরবিহীন ভোট ডাকাতির ভ‚য়া নির্বাচনের মাধ্যমে মহাজোটের সরকার পুনরায় ক্ষমতা দখলে রেখে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনে ভোট না হয়ে আগের রাতেই ৩০/৫০ ভাগ ভোট ব্যালট পেপারে সীল মেরে শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা পৃথিবীতে ভোট জালিয়াতির নতুন নজীর সৃষ্টি করেছে। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে অবিলম্বে ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল করে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন দেওয়া, ব্যর্থ ও অনুগত, ভোট ডাকাতির সহযোগী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর দাবিও জানানো হয়।