পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন। ৪র্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন দফতর, পথে ঘাটে সাঁটিয়ে দিয়েছেন ‘সরকারি যে কোনও কাজের জন্য ঘুষ দেওয়া নেওয়া চলবে না ’ এ রকম লেখা সংবলিত স্টিকার। এই স্টিকারের একপাশে দেওয়া আছে সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর ছবি। নীচে তার মোবাইল নম্বর ও পরিচয়। ফরাজীর এই ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মঠবাড়িয়ার সব মহলের মানুষ।

মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর হোসাইন মোল্লা। এমপি ফরাজীর এই উদ্যোগ একজন এলাকাবাসী হিসেবে তিনি কীভাবে দেখেন  জানতে চাইলে এই শিক্ষক বলেন, ‘মঠবাড়িয়ার ঘুষ দুর্নীতি বেশী। সেটেলমেন্ট অফিসে টাকা দিয়ে আপনি আমার জমি আপনার নামে রেকর্ড করাতে পারবেন। এমপি ফরাজী  ঘুষ,দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে  উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে আমরা স্বাগত জানাই।’

মঠবাড়িয়া কে এম লতিফ সুপার মার্কেটের চা দোকানি তুহিন জানান, সবখানে লাগানো হয়েছে এই স্টিকার। ঘুষখোররা এতে ধাক্কা খাবে। আর ঘুষের চিন্তা করতে পারবে না ।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাজোট থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বুধবার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা কালে  আমি তাদেরকে দুর্নীতি না করার বিষয়ে শপথ করিয়েছি। এ সময় তাদেরকে  বলেছি যারা দুর্নীতির আশ্রয় নেবেন তারা এখান থেকে ৩০জানুয়ারির মধ্যে স্বেচ্ছায় চলে যাবেন। কারও বিরুদ্ধে আমার যেন ডিও লেটার দেওয়া না লাগে।  দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স, আমার পক্ষ থেকেও জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। স্টিকারে আমি আমার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছি। প্রয়োজন হলে লোকজন আমার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন ।

ফরাজী আলাপকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি জনতার কাছে দুর্নীতি না করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এবারই  আমার শেষ নির্বাচন। সবার টাকা লাগে নির্বাচন করতে, আমার লাগে না। দুটো ডালভাত খেয়ে যেতে পারলে হয়। সুনাম ও সততা রক্ষা করে যেতে পারলে হয় ।’

১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। এরপর তিনি  বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ বলেন, সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী দুর্নীতিবিরোধী যে প্রচারণায় নেমেছেন তাকে আমরা স্বাগত জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবিরোধী যে ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে উদ্যোগটি ভালো। এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’

মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন পলাশ জানান, ‘সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী যদি দুর্নীতি বন্ধের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলে মঠবাড়িয়ার মানুষ উপকৃত হবে এবং উনাকে সারাজীবন মনে রাখবে।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews