সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গত মৌসুমটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো উঠে আসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাত নম্বরে। যেখানে পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়ে দেয় তাদের ঘরের মাঠেই।
তবে বছরের শেষটা ভালো হয়নি, ঘরের মাঠে টেস্ট হারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যদিও পরের টেস্টে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। তবে প্রথম ম্যাচের সেই হার নাড়িয়ে দেয় দেশের ক্রিকেটকে।
সেই হারের ধকল কাটিয়ে উঠার আগেই টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারে আরব আমিরাতের কাছে। এরপর ধবলধোলাই হয় পাকিস্তানের কাছে। সেই তিক্ততা নিয়েই শান্তরা এসেছেন শ্রীলঙ্কা সফরে।
সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবেন টাইগাররা। ২ টেস্টের সাথে আছে সমান তিনটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি। রঙিন পোশাকের সিরিজ নিয়ে পরে কথা বলা যাবে। তবে আজ থেকে শুরু টেস্ট সিরিজ।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার আতিথ্য নেবে টাইগাররা। এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে ২০২৫-২৬ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র। খেলা শুরু সকাল সাড়ে ১০টায়।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা এখন মুখোমুখি হলে উত্তেজনা এমনিতেই বেড়ে যায়। নিদাহাস ট্রফি দিয়ে শুরু, বিশ্বকাপের টাইম আউট কাণ্ড দ্বৈরথ বাড়িয়েছে বহুগুণ। আসন্ন সিরিজেও দেখা যেতে পারে তার রেশ।
মাঠের বাইরে উত্তেজনা হলেও মাঠের ভেতর সাদা পোশাকে বেশ মলিন বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্ট খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১টি। আর ড্র হয় ৫টি ম্যাচ।
একমাত্র জয় এসেছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতেই, নিজেদের শততম টেস্টে। আট বছর আগে ২০১৭ সালে কলম্বো টেস্টে লঙ্কানদের চার উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। ম্যাচ সেরা হন তামিম, সেঞ্চুরি ও ৬ উইকেট নেন সাকিব।
আর দুই দল এর আগে ১২টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ একটিতেও জিততে পারেনি। ড্র করেছে কেবল একটি। বাকি ১১টিতেই জয় শ্রীলঙ্কার।
তবে গলে আছে বাংলাদেশের মনে রাখার মতো মুহূর্ত। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২০১৩ সালে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে টাইগাররা। ম্যাচটাও ড্র হয়। তবে ম্যাচটা আরো স্মরণীয় হয়ে উঠে মুশফিকের কারণে।
প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে দ্বি শতক হাঁকান মুশফিকুর রহিম। খেলেন সমান ২০০ রানের ইনিংস। সুযোগ ছিল আশরাফুলের সামনে, তবে তাকে থামতে হয় ১৯০ রানে। সেঞ্চুরি করেন নাসির হোসেনও (১০০)।
এবার অবশ্য আশরাফুল-নাসির নেই, আছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি যদি ১ যুগ আগের মতো ফের সাহস দেখাতে পারেন, তবে নাজমুল হোসেন-লিটনরা না হয় হয়ে উঠলেন আশরাফুল-নাসির।