কুড়িগ্রামে রৌমারীতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বোরো ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষণের ফলে রৌমারীতে নীচু বিল, নদী-নালা পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া ভারতের পাহাড়ি ঢলে কৃষকের ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, ইরি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও কৃষকের ধান ঘরে তোলার সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ভেসে যায়। রৌমারীর সীমান্তবর্তী এলাকায় কৃষকের কপাল পুড়ছে ভারত থেকে বয়ে আসা দর্নিনদী পানিতে। বাংলাদেশের এসব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। কৃষকদের এমন পরিস্থিতি বছরের পর বছর ধরে চলছে। লাঠিয়াল ডাঙ্গা কালাপানির বিল, বেকরিবিল ও সীমান্তঘেঁষা আলগারচর দর্নির বিল, ডিসি সড়কের দু’দিকে শতাধিক বিল রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রৌমারী উপজেলার খেওয়ারচর, আলগারচর, বেক্রিবিলসহ অসংখ্য নীচু জমি পাহাড়ি ঢলের কারণে ফসলি জমিগুলো তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝ হতাশা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে ঘন ঘন বৃষ্টি আর ভারত থেকে বয়ে আসা বিভিন্ন শাখা নদীতে পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ফসলি জমিগুলো তলিয়ে গেছে। ফলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক বন্যার কবলে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় জমিতে পানি জমে থাকায় ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

আলগারচর, খেওয়ার চর, হাওর অঞ্চলের ধান চাষি কৃষক রবিউল ইসলাম, বেকরিবিলের কৃষক ছাত্তার, আলগার চরের জলিল, উত্তর আলগার চরের সামছুল, জানান, ‘বিলের ধান দিয়ে তাদের সংসার চলে। পালের গরু, জমানো টাকা ও সুদের টাকায় চাষ করা জমি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানান, চলতি মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এবছর বোরো ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সীমান্তঘেঁষা এলাকা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews