আগে শুধু কাপড়ের ন্যাপকিন বা তুলার প্যাড ব্যবহৃত হত কিন্তু এখন রংচঙে বিজ্ঞাপনের সুবাদে ‘ড্রাই উইংস’ অথবা শুকনো ন্যাপকিনের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয় ‘এখন আমার কোন দুশ্চিন্তাই নেই, সারাদিন একদম ফ্রি’ লোভনীয় এইসব বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে মেয়েরা প্যাড বা ন্যাপকিন ব্যবহার করে এবং সেটা অনেক লম্বা সময়ও পরে থাকে। ফলাফল কয়েক মাস পর অনাকাঙ্খিত মেয়েলি রোগে আক্রান্ত হয় যার কারণ তারা খুঁজে পায়না। এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা না থাকায় নিজের অজান্তেই তারা নিজের ক্ষতি করে চলে। আসুন আজ আমরা জানে নেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি।
১. ঋতুস্রাবের প্রথম তিন দিন দুই ঘণ্টা পরপর প্যাড পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ।
২. যদি প্যাড শুকনো না থাকে অর্থাৎ উপরের অংশে রক্ত ভিজে আসতে দেখা যায় তবে সাথে সাথে প্যাড পরিবর্তন করা উচিৎ।
৩. কোনোভাবেই চার ঘণ্টার বেশি একটি প্যাড পরা উচিৎ নয়।
৪. ঋতুস্রাবের তৃতীয় দিন হতে যেসব ন্যাপকিনে দ্রুত রক্ত টেনে নেয় এবং উপরের অংশ শুকনো রাখে অর্থাৎ ‘ড্রাই উইংস’ ন্যাপকিন সেগুলো পরা একদম বাদ দিতে হবে।
৫. ঋতুস্রাবের শেষের দিকে অল্প রক্তপাত হয় এবং একারণে সেই রক্ত দ্রুত শুকিয়ে সেখানে জীবানুর আক্রমণ হয় যা যোনিপথের সংস্পর্শে এসে চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
৬. আপনারা হয়ত জানেন না ড্রাই উইংস প্যাড বা ন্যপাকিনে প্যাড শুকনো রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় ‘সেলুলোজ জেল’ নামের একটি উপাদান যা জরায়ুমুখের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
৭. এর প্রকোপ গত কয়েক বছরে বিকট আকার ধারণ করার পিছনে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে স্যানিটারি প্যাডের দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাবহার।
৮. আপনারা খেয়াল করলেই দেখবেন এটি কী উপাদান দ্বারা তৈরি তা কিন্তু এর প্যাকেটের কোথাও উল্লেখ করা থাকেনা।
সতর্কতা:
এ ব্যাপারে কোনো সঠিক দিক নির্দেশনা বা নীতিমালাও এই উপমহাদেশে নেই বলে খুব সহজেই মানুষ এদের বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং নিজের ক্ষতি করছে। কাজেই নিজ দায়িত্বে সতর্ক হোন।
কাপড়ের ন্যাপকিন:
অনেকে একই কাপড় বারবার ধুয়ে ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কাপড়ের ন্যাপকিন অবশ্যই একবার ব্যবহারের পর গরম জলে সিদ্ধ করে ধুয়ে সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকাতে হবে। সূর্যের আলো বেশ ভালো জীবানুনাশক হিসাবে কাজ করে। ঘরের কোণায় শুকাতে দিলে কোনো লাভ হবে না।
তবে চেষ্টা করুন একই কাপড় বারবার ব্যবহার না করতে। সেতাই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।
ইসি/