স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভিপি নুরের উপর হত্যাচেষ্টার বিচার এবং জাতীয় পার্টি সহ ফ্যাসিবাদি ১৪ দলের নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়,প্রেসক্লাব ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, " ২৯ আগষ্ট রাতে পুলিশ সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্যের হামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। নুরুল হক নুরের উপর হামলার আজকে ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না আমরা জানতে চাই। নুরুল হক নুরের উপর হামলার বিচার না হলে সামনে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।
তিনি বলেন, নুরুল হক নুরের উপর হামলা মানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উপর হামলা। এই হামলা যারা করেছে তারা মূলত জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামিলীগ কে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। আওয়ামিলীগ পালিয়ে গেলেও পুলিশ সেনাবাহিনী ও আমলাদের মধ্যে আওয়ামিলীগের দোসররা রয়ে গেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আমলাদের মধ্যে থাকা দোসররা আওয়ামিলীগকে ফেরাতে চায়। আমরা আওয়ামিলীগ কে বাংলাদেশ থেকে বিতারিত করেছি যারা আওয়ামীলীগকে ফেরাতে চায় তাদেরকে দেশকে বিতাড়িত করবে জনগণ। আওয়ামিলীগ ও তাদের দোসরদের কে এই দেশে ঠাঁই দেওয়া হবে না। আওয়ামিলীগ বাংলাদেশে গত ১৫ বছর যে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলো তার সহযোগিতা করেছিলো এই জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল।তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য এড. এস.এম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, এই জাতীয় পার্টি একসময় নির্ভেজাল দোসর ছিলো; ৯০ এর গণঅভ্যত্থানের মাধ্যমে তখন পতন হয়। কিন্তু স্বার্থান্বেষী রাজনীতির কারণে জাতীয় পার্টি রাজনীততে পুনর্বাসিত হয়। গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সুপরীক্ষিত দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্ছিষ্ট ভোগ করে। গণতন্ত্রের ধ্বংসকারী ও গণহত্যাকারীদের দোসর জাতীয় পার্টিকে নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায়, সহ সভাপতি আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য রবিউল হাসান,মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক আসাদুজ্জামান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি ঈসমাইল শ্রমিক নেতা রুবেল প্রমুখ।