দেশে হৃদরোগের জটিল চিকিৎসার জন্য নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কিন্তু হৃদরোগে সব ধরনের ঝুঁকি কমাতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। এজন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। কাঁচা লবণ পরিহারসহ প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি ধূমপান ও সব ধরনের তামাক বর্জন করতে হবে। সুস্থ হার্টই একজন মানুষের সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেবে। এতে করে মানুষের আয়ুও বৃদ্ধি পাবে। হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সবার আগে প্রয়োজন প্রতিরোধ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার এনজিওগ্রাফি অ্যান্ড ইন্টারভেনশনসের (এসসিএআই) আয়োজনে ‘চতুর্থ এসসিআই কোর্স অন কমপ্লেক্স পিসিআই’ শীর্ষক সায়েন্টিফিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ হৃদরোগ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে কার্ডিওভাসকুলার বিষয়ে বিভিন্ন সায়েন্টিফিক অধিবেশনে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ, খ্যাতনামা ও তরুণ কার্ডিওলজিস্ট অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন এসসিএআইয়ের আন্তর্জাতিক কর্মসূচি প্রধান রমেশ দুগাবাতি, এসসিএআইয়ের কোর্স ডিরেক্টর এবং দেশের অন্যতম হৃদরোগ রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম. জি আজম।
সমাপনী দিনের বিভিন্ন অধিবেশনে হৃদরোগের বিভিন্ন জটিলতা, ঝুঁকি, প্রতিকার, অপারেশন নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন ইউকে থেকে আগত ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর মামাস এ মামাস, ইউএসএ থেকে আগত ডাক্তার চৌধুরী এইচ আহসান, ভারত থেকে আগত ডা. শুভানন রায়, অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রুসটেম দাউতভ, অধ্যাপক ডাক্তার একেএম মাকসুমুল হক, অধ্যাপক ডাক্তার বরেন চক্রবর্তী, অধ্যাপক ডাক্তার ফজিলাতুনন্নেছা মালিকসহ অন্যরা।
দেশ ও বিদেশের প্রায় ৩ শতাধিক বিশেষজ্ঞ ও তরুণ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট এই সায়েন্টিফিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার এনজিওগ্রাফি অ্যান্ড ইন্টারভেনশনসের (এসসিএআই) কোর্স ডিরেক্টর, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম.জি আজম জানান, এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল হার্ট অ্যাটাকের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানা। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের দেশের হৃদরোগের তুলনামূলক চিত্র নিরূপণ করে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা। একই সঙ্গে তরুণ চিকিৎসকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষ চিকিৎসকদের কানেকটিভিটি তৈরি করা। এই আয়োজনের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং মেডট্রোনিক বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড।