তাসাউফ ফাউন্ডেশন গত বছরের মতো এবারও ‘পাশেই আছি’ কর্মসূচির আওতায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ও সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশ ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অন্নহীন, অসহায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে রমজান উপলক্ষে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার রান্না করা খাবার বিতরণ করছে এবং ঈদুল ফিতরের দিনে রান্না করা উন্নত খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল ও পহেলা মে তাসাউফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যেমন শাহীন স্কুলের সামনে, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, বনানী কবরস্থানসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ, শারিরীক প্রতিবন্ধীসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জীবাণুনাশক তরল দিয়ে হাত পরিষ্কারের অভ্যাস করানো হয় ও সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়।
মানবকল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে তাসাউফ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১০ থেকে। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহাদাত হুসাইনের সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানবকল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনো প্রাকৃতিক ও মানবিক দুর্যোগে ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সবসময় নিজস্ব আথিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসে। ফাউন্ডেশনের সারা দেশব্যাপী প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছে। দীঘ ১০ বছর ধরে ফাউন্ডেশনটি মানুষের মধ্যে আত্মশুদ্ধি জাগরণের জন্য নৈতিক শিক্ষা দিয়ে আসছে। এতিম ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মধ্যে আলো বিতরণের জন্যও সংগঠনটির রয়েছে অনেক কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, তাসাউফ ফাউন্ডেশন ‘পাশেই আছি’ কর্মসূচির আওতায় গতবছর কভিড ১৯ পরিস্থিতিতে অসহায়, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর লক্ষ্যে তাদের সহযোগিতা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রথম রমজান থেকে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করে এবং ২৭ রমজান পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে খাবার ও ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও তৈরি পোশাক বিতরণ করে। এ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তীকালে করোনায় চাকরিচ্যুত ১৫০টি পরিবারকে চার মাসব্যাপী আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
তাসাউফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সবার উদ্দেশ্যে বলেন, মানবতাকে আলিঙ্গন করতে খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হ্য় না। প্রয়োজন শুধু একটি নির্ভেজাল মন ও উপলব্ধি। তিনি বলেন, আজ আমরা প্রতিটি মানুষ জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে যদি এগিয়ে আসি তবেই আমরা এই যুদ্ধে সফল হব। তবে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিটি মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি