পোশাক খাতের বাইরে চামড়া খাতে নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষিত হয় গত নভেম্বরে। তবে শ্রমিকনেতারা বলছেন, সেটা কেউ বাস্তবায়ন করেনি। অন্য খাতের শ্রমিকদের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বাড়তি কোনো মজুরি ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। অথচ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) তথ্য অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। ১৪২টি খাত ও উপখাতের ৪৩টিতে ন্যূনতম মজুরির ঘোষণা আছে, বাকিগুলো এর বাইরে। এসব খাতের শ্রমিকের জন্য আইনি সুরক্ষা নেই।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ওই অভ্যুত্থানে বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ অংশ নেন। নিহত ব্যক্তিদের অনেকেই শ্রমিক ও দোকানকর্মী। শ্রমিকনেতারা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি শ্রমিকদের জীবনমান কমিয়েছে। মূল্যস্ফীতিতে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা ছিল, শ্রমিকদের জন্য বাড়তি কিছু করা হবে। কিন্তু তা হয়নি।