কয়েক মাস আগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ও সংক্রমণের হার এমন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে অনেকে ধারণা করেছিলেন, আমরা ভাইরাসকে জয় করে ফেলেছি। কিছু কিছু নীতিনির্ধারক তখন গর্ব ভরে করোনাকে ঝেঁটিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কেউ কেউ তো ‘যা উন্নত দেশগুলো পারেনি, তা আমরা পেরেছি,’ দাবি করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত করোনার নতুন ঢেউ ভয়াবহ আকারে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকার নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
কিন্তু লকডাউন অনির্দিষ্টকাল চললে তো অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যাবে। আর লকডাউন তো সমাধান নয়, বরং সমাধানের উপলক্ষমাত্র। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনকালে এবং পরে আমাদের কিছু সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে।
এক বছর ধরে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট ‘করোনা-সহিষ্ণু গ্রাম’ (‘করোনা রেজিলিয়েন্ট ভিলেজ বা সিআরভি) নামে একটি কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একদল স্বেচ্ছাব্রতীদের নেতৃত্বে সারা দেশের প্রায় ১ হাজার ২০০ গ্রামে উদ্যোগটি পরিচালিত হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা করেছে এসডিসি ও কানাডিয়ান হাই কমিশন। এ উদ্যোগের অভিজ্ঞতা জাতি হিসেবে আমাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি।