ব্রাসেলসে জরুরি সফরে রওনা হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনের সহায়তার বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে তিনি এ সফর করছেন।
৫ নভেম্বর ট্রাম্পের নির্বাচন বিজয় এবং জার্মানির রাজনৈতিক সংকট ইউক্রেনের জন্য সহায়তার ভবিষ্যত নিয়ে ইউরোপের শঙ্কা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প অতীতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন এবং মস্কোর ২০২২ হামলার পর থেকে ইউক্রেনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সহায়তা নিয়ে উপহাস করেছেন।
ব্লিঙ্কেনের উত্তরসুরি হিসেবে ট্রাম্প মনোনীত মার্কো রুবিও সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্বীকার করতে হবে যে ইউক্রেন যুদ্ধ এক অচলাবস্থায় পৌঁছেছে এবং ভবিষ্যত সমর্থনে বাস্তব ভিত্তি থাকা প্রয়োজন।
ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, তিনি একদিনের মধ্যে যুদ্ধটিকে শেষ করতে পারেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে তার নতুন প্রস্তাবিত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, ট্রাম্প পুতিনকেও চাপ দিতে পারেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং রাশিয়ার উত্তেজনাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। তবে ক্রেমলিন এ খবর অস্বীকার করেছে।
এমন এক সময় ট্রাম্পের বিজয় এসেছে যখন ইউক্রেন হাজার হাজার উত্তর কোরিয় সৈন্য মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দারা বলেছে ওই সৈন্যরা রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ের জন্য প্রেরিত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে পিয়ংইয়ং এর সৈন্যরা রাশিয়ান বাহিনীর সাথে ‘যুদ্ধ অভিযান’ শুরু করেছে।
সূত্র : সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত