বগুড়ার শাজাহানপুরে কলেজছাত্র রাকিবুল হাসান হৃদয়কে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মারুফ মোরশেদ প্রলয়সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোশাররফ হোসেন সোমবার শাজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক প্রলয়ের সহযোগী তালহাকে (১৮) গ্রেফতার দেখিয়েছে।
রোববার সকালে শাজাহানপুর উপজেলার সুলতানগঞ্জ এলাকায় ধূমপান নিয়ে বিরোধে এক বন্ধুকে মারপিটে বাধা দেয়ায় প্রলয় ও তার সহযোগীরা হৃদয়ের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেছিল। ঢাকায় নেয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত হৃদয়ের বন্ধু নাসিম আহমেদ নয়ন, তানভীর রহমান রিয়াদ ও মহিম হাসান সামির জানান, তারা সবাই বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত রোববার প্রিটেস্ট পরীক্ষা শেষে তারা কলেজ থেকে বের হয়ে পশ্চিম পাশে দোকানে যান। সেখানে বগুড়া শহর (দক্ষিণ) স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মারুফ মোরশেদ প্রলয় সহযোগীদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল।
এ সময় নাসিম আহমেদ নয়ন সিগারেট জ্বালালে প্রলয়ের সহযোগী তাকে ধমক দেয়। একপর্যায়ে প্রলয় ও অন্যরা নয়নকে মারপিট করতে থাকে। তখন বন্ধু নয়নকে বাঁচাতে হৃদয় বাধা দিতে আসে। তখন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রলয় কাছে থাকা ছুরি দিয়ে হৃদয়ের বুকে, পায়ে ও উরুতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত হৃদয়কে ঢাকায় নেবার পথে সন্ধ্যায় তিনি টাঙ্গাইল এলাকায় মারা যান।
পুলিশ হত্যায় জড়িত সন্দেহে ফুলতলা এলাকায় নিহত সন্ত্রাসী শাহীনের ভাগনে তালহাকে আটক করে।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, কলেজছাত্র হৃদয়কে হত্যার ঘটনায় তার বাবা থানায় প্রলয় ও তালহাসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। এজাহারে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে তার ছেলেকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রলয়সহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বগুড়া শহর (দক্ষিণ) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাপ্পী জানান, প্রলয় নেতা পরিচয় দিলেও সে আসলে কর্মী। সে কলেজছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।